তীব্র গরমে বার বার করে জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। সারা দিনের কাজের চাপে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খেতেও ভুলে যান অনেকেই। জলের মাধ্যমেই বেশির ভাগ শারীরবৃত্তীয় কাজ সম্পন্ন হয়। শরীরে দৈনন্দিন জলের যে চাহিদা, তা পূরণ না হলে হাজারো শারীরিক গোলমাল দেখা যায়। জল শুধু শরীরে আর্দ্রতা বজায় রাখে তাই নয়, পরিপাকতন্ত্র ও শ্বাসতন্ত্রকে সুসংগঠিত রাখতেও জল অপরিহার্য।
বাড়ির বাইরে থাকলে অনেকেই জল খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দেন। ফলে শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দেয়। এর ফলে শুধু ডিহাইড্রেশন নয়, অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার ফলে শরীরে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের মাত্রা কমে গিয়েও জটিলতা বেড়ে যেতে পারে। তাই জল খেতে ভাল না লাগলেও এই আবহাওয়ায় শারীরিক সমস্যা এড়াতে শরীরে জলের ঘাটতি হতে দেওয়া চলবে না।
আরও পড়ুন: Benefits of Watermelon: গরমে প্রতিদিন খান এক টুকরো তরমুজ, মুক্তি মিলবে এতগুলো সমস্যা থেকে
শরীরে জলের ভারসাম্য বজায় রাখতে কী কী করবেন?
১) জল খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে মোবাইল ফোনে ‘রিমাইন্ডার’ দিয়ে রাখতে পারেন। বাড়ির বাইরে যেখানেই যান, সঙ্গে জলের বোতল নিয়ে বেরোনোই ভাল।
২) জল খেতে ভাল না লাগলে ওআরএস বা ডাবের জল, ঘোল, লেবুর রস-নুন-চিনির শরবত খাওয়া দরকার।
৩) জলশূন্যতা থেকে বাঁচতে, তেষ্টা না পেলেও জল খেতে হবে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে থাকলে অনেক সময়েই তেষ্টা অনুভব করা যায় না। সে ক্ষেত্রে জল খাওয়ার কথা মনে করানোর ব্যবস্থা রাখতে হবে।
৪) জলের স্বাদ ভাল না লাগলে জলের মধ্যে পুদিনা, তুলসী, লেবু বা অন্যান্য ফলের টুকরো ভিজিয়ে রেখে খেতে পারেন।
৫) ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচতে জলের পরিমাণ বেশি এমন শাকসব্জি বা ফল খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে হবে।
আরও পড়ুন: Alovera Juice: অ্যালোভেরা জুস খাওয়ার কত উপকারিতা জানা আছে কি?