সিবিএসই বোর্ডের এ বছরের দ্বাদশ শ্রেণির ফলাফল প্রকাশিত হল। সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশনের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে রেজাল্ট ঘোষণা করা হয়েছে। সমস্ত পরীক্ষার্থীরা বোর্ডের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট cbse.nic.in-এ গিয়ে রেজাল্ট দেখতে পারবেন। গত বছরের তুলনায় এবার পাশের হার অনেকটাই কমেছে। তবে মেয়েদের সাফল্যের হার বেশি। ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা ৬.০১ শতাংশ বেশি ভাল ফল করেছে।
গত বছর ৯১.২৫ শতাংশ পাশের হার ছিল ছেলেদের, এ বছর সেটি হয়েছে ৮৪.৬৭ শতাংশ। মেয়েদের পাশের হার গত বছর ছিল ৯৪ শতাংশ, এ বছরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৯০.৬৮ শতাংশ। এরই সঙ্গে পরের বছর কবে সিবিএসই দ্বাদশের পরীক্ষা হবে তারও দিন জানানো হয়েছে। ২০২৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে পরীক্ষা।
এ বছর বোর্ডের তরফে কোনও মেরিট লিস্ট প্রকাশ করা হবে না বলে জানানো হয়েছে। কোনওরকম অস্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতাকে এড়িয়ে যেতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড। এরই সঙ্গে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ডিভিশনের ভাগও এবার জানানো হবে না। শিক্ষার্থীরা তাদের নিজের রেজাল্ট দেখতে পারবে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট – cbse.gov.in এবং results.cbse.nic.in-এ লগ ইন করতে পারেন।
স্টেপ ১: CBSE দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির ফলাফল ২০২৩ দেখতে, ছাত্রছাত্রীদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে, results.cbse.nic.in
স্টেপ ২: CBSE ফলাফল ২০২৩ পেজে থাকা ‘CBSE 12th result 2023 – DECLARED’ বা ‘CBSE 12th result 2023 – DECLARED’ লিঙ্কে ক্লিক করুন।
স্টেপ ৩: তারপরে, সঠিক জায়গায় CBSE রোল নম্বর, জন্ম তারিখ এবং স্কুল নম্বরের মতো প্রয়োজনীয় বিবরণগুলি পূরণ করতে হবে।
স্টেপ ৪: অবশেষে, ‘জমা দিন’ (Submit) বোতামে ক্লিক করতে হবে, এবং CBSE দশম শ্রেণির ফলাফল স্ক্রিনে প্রদর্শিত হবে।
স্টেপ ৫: প্রার্থীরা ভবিষ্যতের জন্য তাদের রেজাল্ট ডাউনলোড এবং প্রিন্ট করে রাখতে পারে।
স্কুলের নিরিখে সেরা ফল করেছে জহর নবোদয় বিদ্যালয়। পাশের হার ৯৭.৫১ শতাংশ। তারপর আছে যথাক্রমে সেন্ট্রাল টিবেটিয়ান স্কুল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (৯৬.৭৭ শতাংশ) এবং কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় (৮২.৫১ শতাংশ)। অঞ্চলভিত্তিক পাশের হারের নিরিখে শীর্ষস্থান দখল করেছেন ত্রিবান্দ্রম অঞ্চল। পাশের হার ৯৯.৯১ শতাংশ। তারপর আছে যথাক্রমে বেঙ্গালুরু (৯৮.৬৪ শতাংশ), চেন্নাই (৯৭.৪ শতাংশ), দিল্লি পশ্চিম (৯৩.২৪ শতাংশ), চণ্ডীগড় (৯১.৮৪ শতাংশ) এবং দিল্লি পূর্ব (৯১.৫ শতাংশ)।
এবার সিবিএসই দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় এক লাখের বেশি পড়ুয়া ৯০ শতাংশ বা তার বেশি নম্বর পেয়েছেন (১,১২,৮৩৮ জন)।