ভোররাতে সুপার সাইক্লোনে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় মোকা। ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ছিল ২৪০ কিলোমিটার। আজ সকালে স্থলভাগের কাছাকাছি আসার পর মোকা-র গতিবেগ কিছুটা কমে চরম শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে আছড়ে পড়বে। ল্যান্ডফলের সময় গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ২১০ কিলোমিটার। মোকা-র তাণ্ডবে বাংলাদেশ ও মায়ানমার উপকূল সংলগ্ন এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা।
মায়ানমারের আবহাওয়া দফতরের সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় মোখার সবচেয়ে ‘বাইরের ব্যান্ড’টি সকালে মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের উপকূলে পৌঁছেছে। বিকেল নাগাদ, ঝড়ের কেন্দ্রটি দেশের সিটওয়ে শহরের কাছে স্থলভাগে আছড়ে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
ঢাকা ট্রিবিউনের রিপোর্ট অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় মোখা ২১৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে। এই ঝড়ের বর্তমান গতিপথের উপর ভিত্তি করে অনুমান করা হচ্ছে, মোখার ‘চোখ’ সহ ঝড়ের বেশিরভাগই উত্তর মায়ানমার এবং বাংলাদেশের কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানবে।
মৌসম ভবনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোকার দ্রুত শক্তি বাড়ানোর পিছনে একাধিক কারণ রয়েছে। প্রথম কারণ অবশ্যই বঙ্গোপসাগরের গরম জল। সাধারণত, ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য সমুদ্রের জলতলের তাপমাত্রা ২৬.৫ ডিগ্রি বা তার বেশি হতে হয়। জলতলের ৪ মিটার নীচে পর্যন্ত এই তাপমাত্রা থাকা জরুরি। মোকা যে পথে এগিয়েছে, সেই মধ্য বা পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে কোথাও কোথাও জলতলের তাপমাত্রা ৩১-৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসও ছিল’।
ঘূর্ণিঝড় সমুদ্রের জল থেকেই জ্বালানি খুঁজে নেয়। তাই মোকার ক্ষেত্রে সেই জ্বালানির বিন্দুমাত্র ঘাটতি হয়নি। ঘটনা হল, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্ব জুড়েই তাপমাত্রা বাড়ছে। তার প্রভাব পড়ছে সমুদ্রের জলেও। যত গরম জল, তত তীব্র ঘূর্ণিঝড়। এই নিয়মেই অতি প্রবল বা সুপার সাইক্লোন হয়ে উঠল মোকা।
মোকা যত বাংলাদেশ উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে, ততই আবহাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে। উপকূল ও উপকূল সংলগ্ন জেলাগুলিতে মেঘলা আকাশ লক্ষ করা যাচ্ছে। উপকূলে হালকা হওয়ার সম্ভাবনা। ঘূর্ণিঝড় মোকার সতর্কতায় রবিবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে