শুভেন্দু অধিকারীর দেহরক্ষীর মৃত্যুর মামলায় হস্তক্ষেপ করতে চাইল না সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রক্ষাকবচ পেয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই রায়কে রায় চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছিল রাজ্য সরকার।
গত ডিসেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল এই মামলায় হস্তক্ষেপ করবে না শীর্ষ আদালত। তারপরে সম্প্রতি মৃতের স্ত্রী সুপর্ণা এসেছিলেন সুপ্রিম কোর্টে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, এই বিষয়ে তারা হস্তক্ষেপ করবে না। ফের তাঁকে হাইকোর্টে ফিরিয়ে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। ফলে হাইকোর্টেই আবেদন করতে হবে তাঁকে।
২০১৮ সালের ১৩ অক্টোবর কাঁথির পুলিশ ব্যারাকে মাথায় গুলি লেগে গুরুতর জখম হন শুভব্রত চক্রবর্তী। পর দিনই তাঁর মৃত্যু হয়। স্বামীর মৃত্যুর আড়াই বছর পর সুবিচারের দাবিতে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁর স্ত্রী সুপর্ণা চক্রবর্তী। ওই ঘটনারই তদন্তে এ বার সিআইডি।
২০২১ সালের শুভেন্দু অধিকারীর মেদিনীপুরের বাড়ি শান্তিকুঞ্জে যান তদন্তকারীরা। কাঁথির অধিকারী পাড়ায় গিয়ে যে বাড়িতে শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তারক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তী থাকতেন, সেই বাড়িতেই তদন্তের কাজে যায় সিআইডি দল। চারজনের এই প্রতিনিধিদল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কথা বলেছেন বলে সুত্রের খবর। এছাড়াও জেলা পুলিশ লাইনে শুভব্রত চক্রবর্তীর সঙ্গে তৎকালীন যাঁরা কাজ করতেন সেইসব নিরাপত্তারক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিআইডির আধিকারিকরা। সেই সময়েই দু’জন নিরাপত্তারক্ষীদেরও সি আই ডি সঙ্গে নিয়ে যায় শান্তিকুঞ্জে।
এদিকে, শুভেন্দু অধিকারী এদিন জানান, “মৃত কনস্টেবল আমার দেহরক্ষী ছিলেন না। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে অপপ্রচার করা হচ্ছে। উনি কনভয়ের ডিউটিতে থাকতেন।