ডিএ বৈঠকে কী হল, তা নিয়ে সরাসরি মুখ খুললেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার বিকেলের দিকে নবান্নে সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজ (বুধবার) সরকারের সমস্ত অফিসারদের সঙ্গে মিটিং হল। খুব ভালো মিটিং হয়েছে।’
মহার্ঘ ভাতা নিয়ে বুধবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কয়েকটি সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে আগেই জানিয়েছিলেন মমতা। তিনি জানিয়েছিলেন, ডিএ নিয়ে কয়েকটি সংগঠন আলোচনা করতে চেয়েছে। ওই সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
তবে স্বাস্থ্য স্কিম থেকে শুরু করে পদোন্নতি, একাধিক বিষয়ে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। বুধবার নবান্নে সরকারি কর্মীদের একাংশের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে স্পষ্টই বার্তা দেওয়া হয়েছে, সরকারি কর্মীরাই রাজ্যের সবথেকে বড় শক্তি। তাঁদের কর্মজীবন নিয়ে রাজ্য সরকার যথেষ্ট সচেতন।
এদিন পদোন্নতি, হেলথ স্কিম সহ সরকারি বিভিন্ন দফতরে শূন্য পদ দ্রুত পূরণ করে দফতরগুলিকে আরও শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। এখন থেকে ১৬ এবং ২৫ বছরের পরিবর্তে চাকরি জীবনের ১৫ এবং ২৪ বছরেই ‘হায়ার স্কেল’ সংক্রান্ত সুবিধা পাবেন সরকারি কর্মীরা। ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ স্কিম (WBHS)-এর ক্ষেত্রে এখন ক্যাসলেস সুবিধা পাওয়া যায় দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত। তা বাড়িয়ে দেড় থেকে দুই লাখ পর্যন্ত করা হয়েছে।
সার্ভিস ধরে ধরে কোথায় কত নিয়োগ প্রয়োজন তার তালিকাও তৈরি করে ফেলেছে নবান্ন। বিভিন্ন দফতর এবং সার্ভিসেরঅতিরিক্ত সচিব পর্যায়ের আধিকারিক, জয়েন্ট সেক্রেটারি, ডেপুটি সেক্রেটারি, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার, ওএসডি, রেজিস্ট্রার, স্পেশাল অফিসার, সেকশন অফিসারদের সংখ্যা অনেকটাই বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এর ফলে সমস্ত স্তরের গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডির কর্মীরা ব্যাপকভাবে লাভবান হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।