সমবায়ের মাধ্যমে খাদ্য শস্য সঞ্চয়ের ক্ষমতা বাড়াতে এক লক্ষ কোটি টাকার পরিকল্পনার অনুমোদন দিল মোদী মন্ত্রিসভা। এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠক ছিল। সেখানেই এব্যাপারে অনুমোদন দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর জানিয়েছেন, এদিনের মন্ত্রিসভার বৈঠকে সমবায়ের মাধ্যমে বিশ্বের বৃহত্তম খাদ্য সঞ্চয় প্রকল্পের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
যাতে দেশের শস্য ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তার জন্য এই পদক্ষেপ। খাদ্যদ্রব্য মজুতের পরিমাণ বাড়াতে সমবায় সেক্টরের হাত ধরে আগামী ৫ বছরে একটি লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোবে দেশ। এমনই বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। এতে গ্রামীণ ভারতে কর্মসংস্থানের রাস্তাও বাড়বে, বলে জানিয়েছেন তিনি। এই প্রকল্পের হাত ধরে প্রতিটি ব্লকে ২০০০ টন শস্য মজুত করার ক্ষমতা সম্পন্ন গোডাউন তৈরি হতে চলেছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন এখনও পর্যন্ত সারা দেশে ১৪৫০ লক্ষ টন খাদ্য মজুতের ক্ষমতা রয়েছে। তার ওপরে সেই ক্ষমতা আরও ৭০০ লক্ষ টন বাড়ানো হবে। খাদ্যদ্রব্য সঞ্চয়ের ক্ষমতা নিয়ে যাওয়া হবে ২১৫০ লক্ষ টনে।
অনুরাগ ঠাকুর বলেছেন, ভারত বিশ্বের অন্যতম খাদ্য উৎপাাদনকারী দেশ। সারা বিশ্বে চিন, আমেরিকা, রাশিয়া, ব্রাজিল,আর্জেন্টিনার মতো দেশগুলিতে নিজেদের উৎপাদন ক্ষমতার চেয়ে সঞ্চয় ক্ষমতা বেশি। কিন্তু ভারতে খাদ্যসস্যের সঞ্চয় ক্ষমতা বার্ষিক উৎপাদনের মাত্র ৪৭ শতাংশ। যে কারণে খাদ্য শস্যের অপচয় হচ্ছে। কৃষকরাও কমদামে তা বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিটিআইএস ২ চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিটিআইএস ১-এর মতো এরও তিনটি অংশ থাকবে। এরজন্য খরচ পড়বে ১৮৬৬ কোটি টাকা। এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে সরকারের ৯ বছর পূর্ণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীকে অভিনন্দনও জানানো হয়। পাশাপাশি দেশবাসীকেও ধন্যবাদ দেওয়া হয়।