ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ দক্ষিণ পূর্ব আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের উৎপত্তি হয়েছে। যা ক্রমশই গোয়া উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এটি সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম অর্থাৎ তীব্র থেকে অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। বিধ্বংসী রূপ নিতে পারে এই সাইক্লোন বিপর্যয়। এমনটাই অনুমান আবহাওয়াবিদদের অধিকাংশের।
IMD-র বুলেটিনে জানানো হয়েছে, গত তিন ঘণ্টায় শক্তিশালী হয়েছে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। এটি পূর্ব মধ্য এবং দক্ষিণ পূর্ব আরব সাগরে অবস্থান করছে। মঙ্গলবার মধ্যরাত আড়াইটে নাগাদ এটি গোয়া থেকে প্রায় ৯০০ কিলোমিটার দূরে ছিস। মুম্বই থেকে প্রায় ১০২০ কিলোমিটার এবং গুজরাটের পোরবন্দর থেরে ১০৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল বিপর্যয়।
আরব সাগরে উৎপন্ন এই সাইক্লোনটির নাম বিপর্যয় রেখেছে বাংলাদেশ। তবে কেবলমাত্র ভারতই নয়, এই সাইক্লোনের গভীর প্রভাব পড়তে পারে পাকিস্তানের করাচিতেও। বর্তমানে করাচি থেকে ১৩৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে বিপর্যয় ঘূর্ণিঝড়।
আবহাওয়াবিদদের একাংশের অনুমান ৮-৯ জুন এই সাইক্লোন আছড়ে পড়তে পারে। এর গতিবেগ হার মানাতে পারে মাত্র তিন সপ্তাহ আগে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় মোকার গতিকেও। আমফান কিংবা ফণীর থেকেও বেশি গতিসম্পন্ন হতে পারে বিপর্যয়।
১১৫ থেকে ১২৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। উত্তর কেরালা, কর্নাটক, গোয়া উপকূলে মূলত তাণ্ডব চালাবে এই বিপর্যয় ঘূর্ণিঝড়।
সাধারণত ঘূর্ণিঝড়ের কারণে প্রভাব পড়ে বর্ষার প্রবেশেও। আন্দামান-নিকোবরে বর্ষা প্রবেশ করলেও, এখনও কেরলে প্রবেশ করেনি বর্ষা। ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের কারণে বর্ষার প্রবেশে আরও দেরি হতে পারে। কারণ ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আরব সাগরেই আটকে থাকবে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। ঘূর্ণিঝড়ের রেশ কাটলে, তারপরই আন্দাজ করা যাবে কবে বর্ষা প্রবেশ করবে।