১৭ বছরের ধর্ষিতা আদালতে গর্ভপাতের আর্জি জানিয়েছিল। সেই মামলার শুনানিতে গুজরাত হাই কোর্টের বিচারপতি তাঁকে মনুস্মৃতি পড়ার পরামর্শ দিলেন!
ধর্ষণের মামলায় নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন অভিযুক্ত। কিন্তু ধর্ষণের ঘটনার প্রায় সাত মাস পরে ওই নাবালিকার পরিবার জানতে পারে, সে অন্তঃসত্ত্বা। সাবালিকা নন, এই যুক্তি দিয়ে বৈধ উপায়ে গর্ভপাতের অনুমতি চাইতে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন ওই নাবালিকার বাবা। সেই মামলারই শুনানি ছিল বৃহস্পতিবার।
নাবালিকা মেয়েটির বাবার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী সিকান্দার সৈয়দ। তিনি আদালতকে আরও জানান, মেয়েটির প্রত্যাশিত প্রসবের তারিখ ১৮ অগাস্ট। তাই এই মামলার দ্রুত শুনানি করা হোক। এই মামলার শুনানি চলাকালীন গুজরাট হাইকোর্টের আইনজীবীর মৌখিক পর্যবেক্ষণ নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
মৌখিক পর্যবেক্ষণে গুজরাট হাইকোর্ট জানায়, গর্ভস্থ ভ্রূণ এবং নাবালিকা দু’জনেই সুস্থ থাকলে গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া হবে না। এ প্রসঙ্গে বিচারপতি সমীর জে দেব বলেন, আগেকার দিনে, মেয়েদের ১৪-১৫ বছর বয়সের মধ্যে বিয়ে হয়ে যেত। ১৭ বছর বয়স হওয়ার আগেই গর্ভধারণ করা অত্যন্ত স্বাভাবিক বিষয় ছিল। আমি জানি, আপনি পড়বেন না। তাও বলছি একবার অন্তত মনুস্মৃতি পড়ুন।”
ভ্রূণ এবং নাবালিকার শারীরিক অবস্থা জানার জন্য, আদালত ডাক্তারি পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে। এর জন্য, রাজকোটের সিভিল হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিন্টেনডেন্টকে জরুরি ভিত্তিতে সিভিল হাসপাতালের ডাক্তারদের একটি প্যানেল গঠন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি জানিয়েছেন, চিকিৎসকদের ওই প্যানেল তাদের রিপোর্ট পেশ করার পরই এই আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি। আগামী ১৫ জুন এই আবেদনের পরবর্তি শুনানি। তার আগেই মেডিক্যাল রিপোর্ট পেশ করা হবে।