অবৈধ উপায়ে চাকরি পাওয়ার জন্য যাঁরা এজেন্টদের মারফত টাকা দিয়েছিলেন, তাঁরা কেন অভিযুক্ত হবেন না? কেন তাঁদের মামলার সঙ্গে যুক্ত করা হবে না। এই বিষয়ে সিবিআইয়ের কাছে নথি তলব করে আদালত।
শুক্রবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানির আগে বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)-এর প্রধান অশ্বিনী সাংভি। সিবিআইয়ের তরফে মামলা সংক্রান্ত নথি বা রিপোর্ট আদালতে পেশ করা হয়। গত শুক্রবার নিয়োগ মামলার একটি শুনানিতে যাঁরা বেআইনি ভাবে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের নাম প্রকাশ্যে আনতে বলে আদালত।
গত শুক্রবার নিয়োগ দুর্নীতির একটি মামলায় সিবিআইকে বিচারক প্রশ্ন করেন, যাঁদের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের নামে চার্জশিট দিয়েছে সিবিআই। কিন্তু যাঁদের বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের নাম কোথায়? তাঁরাও তো আইন ভেঙেছেন।
শুক্রবার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে নিয়োগ মামলার শুনানি ছিল। এই মামলায় গ্রেফতার কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল এবং নীলাদ্রি ঘোষের হাজিরা ছিল আদালতে। এই তিন জনের বিরুদ্ধেই ইতিমধ্যে চার্জশিট দিয়েছে সিবিআই। আদালত সেই চার্জশিট সংক্রান্ত ব্যাখ্যা চেয়েছিল সিবিআইয়ের কাছে। যা শুক্রবারই আদালতকে জানানোর কথা ছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। সেই প্রসঙ্গে আদালতে উঠে আসে নিয়োগ মামলায় বেআইনি ভাবে চাকরিপ্রাপ্তদের প্রসঙ্গ।
সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক প্রশ্ন করেন, কুন্তল, তাপস, নীলাদ্রিরা তো এজেন্ট। এঁদের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ। কিছু অনেকে এঁদের টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন। কিছু লোক টাকা দিয়ে চাকরি পাননি। যাঁরা পাননি, তাঁদের কথা না হয় ছেড়ে দেওয়া গেল, কিন্তু যাঁরা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের সামনে আনা হচ্ছে না কেন? সিবিআই অবশ্য এর জবাবে স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি।