দেবী দুর্গা ১০৮ অবতারের অন্যতম এবং দেবী সঙ্কটনাশিনীর একটি রূপ মা বিপত্তারিণী (Bipodtarini puja 2023)। হিন্দু ধর্মে বিপত্তারিণী ব্রতের গুরুত্ব অনেক। আষাঢ় মাসের সোজা রথ থেকে উল্টো রথের মাঝখানে যে শনি ও মঙ্গলবার পড়ে তাতে পালন করা হয় বিপদতারিনী পুজো। বাংলার ঘরে ঘরে এই পুজো অনুষ্ঠিত হয়। কীভাবে বিপদতারিনী পুজো করবেন জেনে নিন এখান থেকে।বিপত্তারিণী ব্রত দেবী বিপত্তারিণীকে উৎসর্গ করা হয়েছে যিনি মা কালীর অন্য রূপ। বিপত্তারিণী পুজো ২০২৩ সালে ২৪ জুন এবং ২৭ জুন। রথযাত্রার পরে এবং উল্টো রথের আগে বাংলায় আষাঢ় মাসে মঙ্গল ও শনিবার এই ব্রত পালন করা হয়।
প্রচলিত বিশ্বাস, যারা ব্রত পালন করেন তারা দেবী বিপদতারিনীর আশীর্বাদ পান এবং পরিবারকে সব ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা করতে সক্ষম হন।বিপত্তারিণী ব্রতের আগের দিন, ব্যক্তি শুধুমাত্র নিরামিষ খাবার খাবে। ব্রতের দিনে উপবাসকারী ব্যক্তি কোনও খাবার খান না। পুজোর পর উপবাস ভাঙা হয়।
আরও পড়ুন: Digha Jagannath Temple: দরজা খোলা সময়ের অপেক্ষা! পুরীর থেকে আলাদা কোথায়? জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
বিপত্তারিণী পুজোর নিয়ম
* ব্রতের আগের দিন নিরামিষ আহার করলে ভাল।
* উপবাস করে নিষ্ঠা করে সব উপকরণ দিয়ে মা বিপত্তারিণীর পুজো করতে হয়।
* পুজো শেষে ১৩ টা লুচি ও ১৩ রকমের ফল খেতে হয় প্রসাদ হিসাবে।
* পুজো হয়ে গেলে ঠাকুরের পায়ে অর্পণ করা ১৩ টি গিঁট দেওয়া লাল সুতো (ডোর) হাতে বেঁধে নিতে হয়।
* এই লাল সুতো মেয়েদের বাম ও ছেলেদের ডান হাতে পড়তে হয়। এটি অন্তত তিনদিন হাতেই রাখার নিয়ম।
বিপত্তারিণীর মন্ত্র
মাসি পূণ্যতমেবিপ্রমাধবে মাধবপ্রিয়ে।ন বম্যাং শুক্লপক্ষে চবাসরে মঙ্গল শুভে। সর্পঋক্ষে চ মধ্যাহ্নেজানকী জনকালয়ে। আবির্ভূতা স্বয়ং দেবীযোগেষু শোভনেষুচ।নমঃ সর্ব মঙ্গল্যেশিবে সর্বার্থসাধিকে শরণ্যে ত্রম্বক্যে গৌরী নারায়ণী নমস্তুতে।
আরও পড়ুন: Durga Puja 2023: রথেই খুঁটিপুজোর সঙ্গে শুরু কাউন্টডাউন, দুর্গাপুজো আর ক’দিন বাকি?