দুষ্কৃতীদের গুলিতে জখম হলেন উত্তরপ্রদেশের দলিত নেতা তথা ভীম আর্মির প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ ওরফে রাবণ। বুধবার বিকেলে সাহারানপুরে তাঁর কনভয় লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, গুলিবিদ্ধ চন্দ্রশেখরকে দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সাহারানপুর পুলিশ (UP Police) সূত্রের খবর, বুধবার সন্ধেয় বেশ কয়েকজন সশস্ত্র দুষ্কৃতী গাড়িতে করে এসে আজাদের কনভয় লক্ষ্য করে গুলি চালায়। দুট গুলি চালানো হয় সোজা আজাদকে টার্গেট করে। যার মধ্যে একটি আজাদের পিঠ ছুঁয়ে গিয়েছে। তবে ভীম সেনা সূত্রের খবর, আজাদের আঘাত বিশেষ গুরুতর নয়। তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। আপাতত তিনি বিপদমুক্ত। জেলা পুলিশের সিনিয়র সুপার (এসএসপি) বিপিন টডা বলেন, ‘‘দুষ্কৃতীদের খোঁজ চলছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’
আরও পড়ুন: Kedarnath Yatra: তুমুল বর্ষণ উত্তর ভারতে, অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত কেদারনাথ যাত্রা
চন্দ্রশেখরের গড়া সামাজিক সংগঠন ভীম আর্মি গত কয়েক বছরে বিভিন্ন রাজ্যে দলিত ও অনগ্রসরদের অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে অংশ নিয়েছে। উত্তর ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) বিরোধী আন্দোলনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন চন্দ্রশেখর। শাহিনবাগ সমাবেশে যোগ দিয়ে জেলেও গিয়েছিলেন। ২০২০ সালের মার্চ মাসে রাজনৈতিক দল ‘আজাদ সমাজ পার্টি’ গড়েছিলেন তিনি। গত বছর উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা ভোটে গোরক্ষপুর (শহর) কেন্দ্রে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে লড়ে হেরে গিয়েছিলেন চন্দ্রশেখর। অনুগামীদের কাছে ‘রাবণ’ নামেই নিজের পরিচয় দেন তিনি।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে ভীম সেনার (Bhim Army) প্রধান দিল্লির কৃষক বিক্ষোভেও সক্রিয়ভাবে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁর সংগঠনও সক্রিয়ভাবে কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। এই কৃষক আন্দোলনে (Farmers Protest) যোগ দেওয়া দুই তরুণ নেতা তথা জনপ্রিয় মুখ সিধু মুসেওয়ালা এবং দীপ সিধুকে ইতিমধ্যেই খুন হতে হয়েছে। সেই একই ধাঁচে আজাদকেও খুনের চেষ্টা করা হয়নি তো? উঠছে একাধিক প্রশ্ন।