২০২০ সালে মৃত্যু হয়েছিল ১৬ বছরের লন্ডনের (London) বাসিন্দা রোহন গোধানিয়া নামে এক কিশোরের। প্রথমে মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও ময়নাতদন্তের পরে জানা যায় আসল কারণ। প্রোটিন শেক (Protein Shake) খেয়ে রোহনের মৃত্যু হয়েছে বলে তদন্তে জানা যায়। আর এই ঘটনার পর থেকেই প্রোটিন শেক খাওয়া নিয়ে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ঘটনাটি ২০২০ সালের। ওই বছর ১৫ আগস্ট একটি প্রোটিন ড্রিঙ্ক খাওয়ার পরেই অসুস্থ বোধ করে ১৬ বছরের রোহান। এরপরেই তার মস্তিষ্কের স্থায়ী ক্ষতি হতে থাকে। তাকে দ্রুত ওয়েস্ট মিডলসেক্স হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। রোগটি কী তা নির্ধারণ করার আগেই তার অঙ্গদান করা হয়। জানা যায়, ছেলে বড্ড দুর্বল ছিল। তাই তাঁর গায়ে শক্তি বাড়াতেই প্রোটিন শেক খাওয়াতে শুরু করেন। কিন্তু তার পরিনতিতেই শোকগ্রস্ত গোটা পরিবার।
আরও পড়ুন: Car collides: প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে হামলা! দরজায় ধাক্কা মেরে ঢুকে পড়ল গাড়ি
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরে প্রোটিন শেক খাওয়ার ফলে রোহন ‘অর্নিথাইন ট্র্যান্সকার্বোমাইলেস’(ওটিসি)-এর মতো একটি বিরল রোগে আক্রান্ত হয়। যার ফলে ধীরে ধীরে ওই কিশোরের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা নষ্ট হতে শুরু করে। একটা সময় মস্তিষ্ক কাজ করা বন্ধ করে দেওয়ায় তার মৃত্যু হয়। রোহনের মৃত্যুর কারণ প্রকাশ্যে আসতেই লন্ডনে প্রোটিন শেক খাওয়া নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হয়। সে দেশের অনেক চিকিৎসকই প্রোটিন শেক খেতে নিষেধ করা শুরু করেন।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, প্রোটিন শেক খেতে হলে বাড়িতেই প্রোটিন পাউডার বানিয়ে নেওয়া উচিত। বাজারচলতি প্রোটিন শেক বা প্রোটিন ড্রিঙ্ক নিরাপদ নয়। বাইরে থেকে কিনে আনা ড্রিঙ্কে এমন কিছু রাসায়নিক থাকে যা সকলের শরীরের জন্য সঠিক নয়। আর যদি আগে থেকে কোনও রোগ থাকে বা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে, তাহলে সেইসব রাসায়নিক উপাদান শরীরে নানারকম বিক্রিয়া ঘটাতে পারে। এর থেকে জটিল অসুখ বাসা বাঁধতে পারে শরীরে।
আরও পড়ুন: Order of the Nile: মোদীকে সর্বোচ্চ সম্মান দিল নীল নদের দেশ, বৈঠক মিশর-ভারত সম্পর্ক নিয়ে