তালিকায় নাম থাকলেও তৃণমূলের প্রচারে যাচ্ছেন না সায়নী ঘোষ। গত প্রায় ৫ দিন তালিকায় নাম ছিল না তাঁর। এদিন পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া এলাকায় কর্মসূচিতে নাম রয়েছে তাঁর। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রের খবর, প্রচারে বাদ দেওয়া হয়নি। ব্যক্তিগত কাজে আটকে ছিল। তাই দু’দিন প্রচার তালিকায় নাম ছিল না। কিন্তু এদিন প্রচার তালিকায় নাম থাকলেও আজ প্রচারে যাচ্ছেন না সায়নী ঘোষ।
তৃণমূল সূত্রে খবর, সায়নী দলকে জানিয়েছেন যে, তাঁর মা হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সেই কারণেই তিনি আজ যেতে পারছেন না। তবে আগামী ৬ তারিখ আরও একটি প্রচার কর্মসূচি রয়েছে, সেখানে সায়নী অংশ নেবেন। উল্লেখ্য, এরমধ্য়ে আগামিকাল ইডির দফতরে সায়নীর হাজিরার দিন রয়েছে। সূত্রের খবর, সায়নীর হাজিরা দিতে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ইডি দফতরে হাজিরা দেন সায়নী ঘোষ। ইডি দফতরে পৌঁছে সায়নী ঘোষ জানান, তিনি তদন্তে সহযোগিতা করতে এসেছেন। সায়নী বলেন,”আমি নির্বাচনী প্রচারে ছিলাম। ৪৮ ঘণ্টার নোটিসে আমাকে ডাকা হয়েছে। আমাকে সশরীরে হাজিরার কথা বলা হয়েছিল। তাই আমি সশরীরে এখানে উপস্থিত হয়েছে। আমার নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করব।”
আরও পড়ুন: Tomato Price Hike: টমেটোর সেঞ্চুরি পার, উৎসবের মরসুমে নাজেহাল জনগণ
এখন ইডির নজরে সায়নীর নামে গল্ফগ্রিনের দুটি ফ্ল্যাট। কারণ, ৮০ লক্ষ টাকা দামের ফ্ল্যাটের জন্য ব্যাঙ্ক থেকে ৬০ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন বলে দাবি সায়নীর। বাকি ২০ লাখ টাকা সেভিংস ভেঙে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সায়নী। যদিও তদন্তকারীদের অনুমান বুকিং বাবদ যে ২০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়, তা কুন্তলের থেকে পেয়েছিলেন তিনি। তবে তা অস্বীকার করেছেন সায়নী। তাঁর দাবি, বাকি ২০ লক্ষ টাকা তাঁর এবং পরিবারের জমানো টাকা থেকে দিয়েছিলেন। এখন সায়নীর এই দাবি কতটা সত্য তা নিশ্চিত হতে ব্যাঙ্ক ঋণ সংক্রান্ত যাবতীয় নথি, কে ঋণ শোধ করছে, ব্যাঙ্কের ঋণ ছাড়া অন্য কারও ঋণ নিলে থাকলে তার প্রমাণ্য নথি, সেভিংস ভেঙে টাকা দিয়েছেন বলে যে দাবি করছেন সেই সংক্রান্ত সব নথি জমা দিতে বলা হয়েছে সায়নী ঘোষকে। ৫ জুলাইয়ের মধ্যে সেই নথি নথি তলব করা হয়েছে।
যা নিয়ে সায়নীর সাফ বক্তব্য, ‘৫ জুলাই আবার যাব। সশরীরেই হাজিরা দেব। যতবার ডাকবে ততবার যাব। যারা চুরি করে তারা পালিয়ে বেড়ায়। আমি কেন পালিয়ে বেড়াব? ভোটের প্রচারের মুখে বার বার ডাকায় অসুবিধা তো হচ্ছে। কিন্তু কী করব? আমি একা নই। দলের অনেক নেতাকেই এই পরিস্থিতি ফেস করতে হয়েছে। একটা বড় শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে গেলে এরকম পরিস্থিতি আসেই। দল পাশে আছে। আরও কিছু নথি বাকি রয়ে গিয়েছে। নিয়ে যেতে বলা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023: রাজ্যে এই ৫ দিন বন্ধ মদের দোকান! খুলবে না পানশালাও