মিটবে ইলিশের খরা, কাকদ্বীপে ঢুকল ৫০০ টনের বেশি ইলিশ। ইলিশ প্রিয় বাঙালির জন্য এটি একটি সুখবর বলা চলে।বৃষ্টি শুরু হতেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ, নামখানা, বকখালি, সাগর, পাথরপ্রতিমার মৎস্যজীবীদের জালে মরসুমের প্রথম ধরা পড়েছে জলের রুপোলি শস্য (Hilsa Fish)। বঙ্গোপাসাগরে বৃষ্টি ও পুবালী বাতাস থাকায় ইলিশে ঝাঁকের দেখা মিলেছে। এ ইতিমধ্যে ইলিশভর্তি ট্রলার ফিরতে শুরু করেছে নামখানা, কাকদ্বীপ মৎস্যবন্দরে। ডায়মন্ড হারবারের নগেন্দ্রবাজারের মাছের আড়ত ঘুরে যা পৌঁছে যাবে কলকাতা-সহ রাজ্যের বাজারে। গত কয়েকদিনে ৫০০ টনের বেশী ইলিশ মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়েছে। তবে এবার আর খোকা ইলিশ নয়। আকারে, ওজনে ইলিশগুলি ৭০০ গ্রাম থেকে এক কিলোর মধ্যে।
ইতিমধ্যে ইলিশভর্তি ট্রলার ফিরতে শুরু করেছে নামখানা, কাকদ্বীপ মৎস্যবন্দরে। ডায়মন্ড হারবারের নগেন্দ্রবাজারের মাছের আড়ত ঘুরে যা পৌঁছে যাবে কলকাতা সহ রাজ্যের বাজারে।
দু’দিনের মাথায় পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে গ্রামবাংলা জুড়ে। ইতিমধ্যেই ৮ জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচন উপলক্ষ্যে সবেতন ছুটি ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। সুতরাং একদিকে ছুটি এবং অন্যদিকে বড় সাইজের ইলিশ। বাজার থেকে নিয়ে আসলেই শনিবার এবং রবিবার খাবারের পাত জমে যাবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য শনিবার ছুটি এবং রবিবার এমনই ছুটি। ফলে ইলিশের স্বাদ নেওয়ার পূর্ণ সময় ও সুযোগ রয়েছে খাদ্যরসিকদের হাতে।
কিছুদিন আগেও ইলিশ ধরা হয়েছিল। তাতে খুব একটা লাভ হয়নি। কারণ একদিকে খোকা ইলিশ অন্যদিকে দামও বেশি। সেখানে এবার উঠে এসেছে প্রচুর পরিমাণ ইলিশ। আবার দামও কম হবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে কম দাম ইলিশ পাওয়ার খবরে এখন আত্মহারা খাদ্যরসিক বাঙালি।