ভোট মিটলেও বিরাম নেই হিংসার। শনিবার রাত থেকেই মালদহের বিভিন্ন জায়গায় রাজনৈতিক সংঘর্ষের খবর মেলে। শনিবার রাতে মালদহের হরিশচন্দ্রপুরের মশালদহ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কংগ্রেস-তৃণমূল সংঘর্ষে বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে। এলাকায় গুলি চলে বলেও অভিযোগ। অন্যদিকে, রবিবার সকালে হরিশচন্দ্রপুরের অন্য আর এক জায়গায় সংঘর্ষে জড়ায় বাম-কংগ্রেস জোট ও তৃণমূল।
রবিবার সকালে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের সুলতান নগরের যোগীলাল গ্রামে সংঘর্ষ বাঁধে। সিপিএম-কংগ্রেস জোটের সঙ্গে তৃণমূলের ব্যাপক সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষের জেরে মোট ১৫ জন আহত হয়েছেন। কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভোটের পর হিংসার জের থমথমে হয়ে রয়েছে যোগীলাল গ্রাম। এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
রবিবার সকালেও তৃণমূল এবং কংগ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটের নৈনান এলাকায়।হানাহানিতে জখম হলেন তিন পুলিশ। তাঁদের মধ্যে এক জন এসআই এবং দুই কনস্টেবল রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে এক কনস্টেবলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি বর্তমানে ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: Murder: স্ত্রীকে খুন করে ঘিলু রান্না খেল স্বামী, খুলি দিয়ে বানাল ছাইদানি!
ভোটের দিন চার জনের প্রাণহানির পরেও অশান্তি জারি মুর্শিদাবাদে। রবিবার সকাল থেকে উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জ এবং রানিনগর। শমশেরগঞ্জে তৃণমূল এবং নির্দল প্রার্থীর দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে উত্তপ্ত এলাকা। শমসেরগঞ্জ থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু তাজা বোমা। অন্য দিকে, মুর্শিদাবাদেরই বেলডাঙায় কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের উপরে হামলার অভিযোগ উঠেছে। তার প্রতিবাদে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস কর্মীরা। সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। রানিনগরে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের উপরে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। তাতে আহত চার তৃণমূল কর্মী, এমনটাই দাবি তৃণমূলের। কংগ্রেস সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ভোট মিটেছে শনিবার। তখনও এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সেই ভোট কেমন গেল, তাই নিয়ে রবিবার বচসায় জড়াল তৃণমূল এবং সিপিএম। আর তার পরিণতিতে এলাকায় পড়ল বোমা। ভাঙচুর চলল বাড়িঘরে। রবিবার এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগনার আমডাঙার শশীপুর এলাকায়। তৃণমূলের অভিযোগ, তাদের কর্মীদের বাড়িঘরে ভাঙচুর চালিয়েছে সিপিএম। সেই অভিযোগ উড়িয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে পাল্টা ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’র অভিযোগ করল বামেরা। উত্তেজনা প্রশমনে এলাকায় নেমেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: Orissa High Court: বিয়ে না হলেও সম্মতির ভিত্তিতে শারীরিক সম্পর্ক ধর্ষণ নয়: ওড়িশা হাই কোর্ট