দিঘা থেকে এল সুখবর৷ পর পর দু দিন দিঘার মৎস্যজীবীদের জালে উঠল বিপুল পরিমাণ ইলিশ৷গতকাল দিঘার পাইকারি বাজারে প্রায় ৩৫-৪০ টন ইলিশ এসেছিল৷ এ দিন এসেছে প্রায় ৬০ টন ইলিশ৷ ফলে দারুণ খুশি মৎস্যজীবী এবং ব্যবসায়ীরা৷
গত ১৫ জুন সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার উপরে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের জারি করা ‘ব্যান পিরিয়ডের’ মেয়াদ শেষ হয়েছে। এ বছর মাছ ধরার মরসুম শুরু হওয়ার পরে এক মাস ঘুরতে না ঘুরতেই মৎস্যজীবীদের জালে রাশি রাশি রূপোলি শস্য। হাসি ফুটছে ট্রলার মালিক থেকে শুরু করে মৎস্যজীবীদের মুখে। ‘দিঘা ফিসারম্যান অ্যান্ড ফিস ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনে’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ বছর অবশ্য মরসুম শুরু হওয়ার পর একদিনে ১০টন ইলিশ মাছ আমদানি হয়েছিল দিঘায়। এ দিন দিঘা মোহনায় বহু ট্রলার ফিরে এসেছে। সেই সব মৎস্যজীবীদের জালে প্রায় ৩০ টনেরও বেশি ইলিশ মাছ ধরা পড়েছে। সকালে দিঘা মোহনা মাছ নিলাম কেন্দ্রে ২৫-৩০ টন ইলিশ মাছ বিক্রি হয়ে গিয়েছে। আরও ১০ থেকে ১৫ টন ইলিশ মাছ নিয়ে বেলা বাড়ার পর বেশ কয়েকটি ট্রলার এসে পৌঁছয়।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023: দিলীপের বুথেই তৃণমূলের জয়, জোড়াফুলের ধাক্কায় কাত নির্দলও
জানা গিয়েছে, সাড়ে চারশো থেকে পাঁচশো গ্রাম, সাতশো গ্রাম থেকে ১ কেজি ২০০ গ্রাম পর্যন্ত ওজনের সাইজের মাছ ধরা পড়েছে৷প্রচুর পরিমাণে মাছ ধরা পড়ায় দিঘায় পাইকারি বাজারেও ইলিশের দাম বেশ কিছুটা কমেছে৷ ১ কেজি, ১২০০ গ্রামের মাছ পাইকারি বাজারে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে৷
আবার ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রামের মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে সাড়ে ৫০০ টাকা কেজি দরে৷ পরিবহণ খরচ, লাভের অঙ্ক ধরে খুচরো বাজারে এই মাছের দামই কেজি প্রতি ১০০ টাকা করে গড়ে বাড়বে বলে মত ব্যবসায়ীদের৷ ব্যবসায়ীদের মতে, যোগান বাড়লে ইলিশের দাম আরও কমবে৷
দিঘা ফিসারম্যান অ্যান্ড ফিস ট্রেডার্স আসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস বলেন, “শুক্রবার প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ টন ইলিশ উঠেছে দিঘা মোহনায়। এবছর প্রকৃতি কিছুটা সহায়ক। আশা করি আগামী কয়েক দিনে ইলিশের আমদানি আরও বাড়বে। তখন দামও কমে যাবে। আমরা চাই সব বাঙালির পাতে ইলিশ পড়ুক।’’
আরও পড়ুন: Partha Chatterjee: তুলে দেওয়া হল তৃণমূলে ‘মহাসচিব’ পদ , তালা পড়ল বিধানসভায় পার্থের ঘরেও