পঞ্চায়েত ভোট মিটতেই ফের বাংলার তৃণমূল সরকারকে ফেলে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি (BJP)। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপির মতুয়া নেতা শান্তনু ঠাকুর দাবি করেছিলেন, আগামী পাঁচ মাসের মধ্যে বাংলার তৃণমূল সরকার পড়ে যাবে! এই প্রসঙ্গেই এবার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রীতিমতো তাচ্ছিল্যের সুরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘একটা বালতি ওল্টাতে পারে না, সরকার ফেলবে!’
এদিন ভোট সন্ত্রাসে আহত তৃণমূল কর্মীদের দেখতে এসএসকেএমে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় একের পর এক তোপ দাগেন মমতা। এরইমধ্যে আবার ৫ মাসের মধ্যে রাজ্যে তৃণমূল সরকার ফেলার ‘গ্যারান্টি’ দিয়ে দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। একই সুর শোনা গিয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের গলাতেও। তাঁর কথাতে মিলেছে বিধায়কদের দলবদলের ইঙ্গিতও। তা নিয়ে এখন জোর চর্চা চলছে বঙ্গ রাজনীতির আঙিনায়।
এ ছাড়া বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রায়ই এই ধরনের দাবি করেন। শুভেন্দু রাজ্যে ৩৫৫ ধারা প্রয়োগ করার মতো পরিস্থিতি রয়েছে বলেও একাধিক বার মন্তব্য করেছেন। গত সোমবার তিনি এ নিয়ে রাজ্যপালের পদক্ষেপ করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন। বুধবার সেই সবেরই জবাব দিলেন মমতা।
আরও পড়ুন: Sovan-Baisakhi: কোর্ট চত্বরেই রত্না-শোভনের ঝগড়া, দূরে দাঁড়িয়ে দেখলেন বৈশাখী
এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে এদিন পদ্ম শিবিরের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে মমতা বলেন, “ওদের বলুন আগে একটা বালতি ওল্টাতে। তারপর সরকার ফেলবে। খেয়ে দেয়ে কাজ নেই ওদের। কালকে থেকে তো ভয়ে থরথর করে কাঁপছে। INDIA উইল ফেস দ্য ব্যাটল।” বুধবার কলকাতায় মিছিল করে বিজেপি। তা নিয়েও মন্তব্য করেছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘যাদের কোনও কাজ নেই, কর্ম নেই, শুধু হিংসা, কুৎসা করা কাজ তারা আর কী করবে?”
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুতে বিরোধী জোটের বৈঠকে তৃণমূল ছাড়াও ছিল সিপিআইএম, ফরওয়ার্ড ব্লক, কংগ্রেসের মতো দলেরা। যদিও বাংলায় এরা প্রত্যেকে কট্টর তৃণমূল বিরোধী দলেও জাতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধিতায় একযোগে হাত মিলিয়ে চলা এখন কতটা সম্ভব হয় সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন: Doctor’s Death: বিদেশী বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে কলকাতার চিকিৎসকের মৃত্যু, খুন নাকি দুর্ঘটনা?