Condoms found in Primary school of North Dinajpur

Condom: বারান্দায় ছড়িয়ে কন্ডোম! স্কুল খুলতেই চোখ কপালে শিক্ষকদের

পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর পশ্চিমবঙ্গের জেলা স্কুলগুলির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে রিপোর্ট এসেছে নবান্নে। তার জন্য বড় খরচের মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। কিন্তু এবার তার মধ্যে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।ভোটের পর স্কুল খুলতেই কোথাও নজরে এসেছে ছড়িয়ে থাকা ব্যালট, কোথাও আবার আস্ত ব্যালট বাক্সও। সে সবে অবাক হওয়ার পালা যখন শেষ, তখন নজরে এল ছড়িয়ে থাকা কন্ডোম (Condom)।খবর ছড়াতেই আলোড়ন গোটা এলাকায়।উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া ব্লকের নারায়ণপুর এফপি স্কুলের বারান্দা এবং বাথরুমে কন্ডোম (Condom in the school corridor after election) ছড়িয়ে থাকতে দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন শিক্ষকরা।

নির্বাচনের সময় যারা এই স্কুলে ছিল তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাহলে কি রাতের অন্ধকারে যৌনতা ছড়িয়েছিল স্কুল প্রাঙ্গণে?‌ তা না হলে ব্যবহৃত কন্ডোম পড়ে থাকবে কেন?‌ উঠেছে প্রশ্ন।অনেক স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে থাকতে দেওয়া হয়েছিল। আবার ভোটকর্মীরাও ছিলেন স্কুলে। সেখানে কন্ডোম মেলায় নানা গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। পঞ্চাযেত নির্বাচনের জেরে গত কয়েকদিন বন্ধ ছিল স্কুল। বুধবার থেকে এই স্কুল খুলেছে। তারপরই এই দৃশ্য দেখে বাকরুদ্ধ সকলে। তাহলে কি স্কুল ফাঁকা পেয়ে অন্য কেউ ঢুকে পড়েছিল?‌ এমন প্রশ্নও করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেক্ষেত্রে প্রশাসনের নজরদারি নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলছেন।

অভিভাবকেরা এমন দৃশ্য দেখে শিশুদের স্কুলে পাঠাতেই ভয় পাচ্ছেন। তাঁদের অভিযোগ, স্কুল ছুটি হওয়ার পর বহিরাগতদের আড্ডা চলে ভিতরে। মদ্যপ লোকজন পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢুকে পড়ে বলেও অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁরা বলছেন, পুলিশ যদি টহল দেয়, তাহলে এসব কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যেতে পারে। দ্রুত স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তাঁরা।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, “স্কুলের বারান্দায় ছড়িয়ে আছে কন্ডোম, এটা জানার পরে আর কেউ ওই স্কুলে বাচ্চাকে পাঠাবে!” স্কুলের শিক্ষক মহম্মদ ফইরুদ্দিন জানান, এদিন সকালে স্কুল খুলেই ওই দৃশ্য দেখতে পান তিনি। তিনি বলেন, “প্রধান শিক্ষক আপাতত স্কুলে আসেননি। তাঁকে সবটা জানানো হয়েছে।” তবে এদিন আর স্কুলের গেট খোলা হয়নি।