মোদী পদবি অবমাননা মামলায় সুপ্রিম কোর্টে বড় স্বস্তি পেলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। বিচারপতি আরএস গাভাই এবং বিচারপতি পিকে মিশ্রের বেঞ্চ শুক্রবার রাহুলের দু’বছরের জেলের সাজার উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে। ফলে এ সংক্রান্ত সুরাত আদালতের রায় আপাতত কার্যকর হচ্ছে না। সেই সঙ্গে ওয়েনাড়ের বরখাস্ত সাংসদ রাহুলের পদ ফিরে পাওয়ার সম্ভবনাও তৈরি হল।
২০১৯ সালের ১৩ এপ্রিল কর্নাটকের কোলারের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (PM Narendra Modi) কটাক্ষ করে রাহুল বলেন, “দুর্ভাগ্যজনক যে দেশের বড় বড় চোরেদের পদবি মোদী।” তৎকালীন কংগ্রেস সাংসদ ওই বক্তব্যের মধ্যে গোটা মোদী সমাজকেই অপমান করেছেন বলে গুজরাটের সুরাট আদালতে মামলা করেন পূর্ণেশ মোদী। সেই মামলায় রাহুলকে দোষী সাব্যস্ত করে দু’বছরের কারাদণ্ড দেয় গুজরাটের সুরাট আদালত। পরদিনই তাঁর সাংসদপদ খারিজ করে লোকসভার সেক্রেটারিয়েট। নিম্ন আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে গুজরাট হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন রাহুল। কিন্তু সেখানেও নিম্ন আদালতের রায় বহাল থাকে।
আরও পড়ুন: Delhi Muharram Violence : মহরমে হিংসা দিল্লিতে জখম ৫ মহিলা এবং ৬ পুলিশকর্মী
সেই সাজার রায়ের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে ১৭ জুলাই রাহুলের আইনজীবী শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন। রাহুলের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির তরফে আবেদনে বলা হয়, ‘‘যদি গুজরাত হাই কোর্টের ৭ জুলাইয়ের রায় স্থগিত না করা হয়, তবে তা বাক্স্বাধীনতা, মতপ্রকাশ, স্বাধীন চিন্তাভাবনার কণ্ঠরোধের পরিবেশ তৈরি করবে।’’
শুক্রবারের শুনানিতে কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি জানান, “এটাই রাহুলের শেষ সুযোগ। এই ধরনের মামলায় এর আগে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ার নজির নেই। মোদি পদবিধারী গোটা দেশে ১৩ কোটি মানুষ। অথচ, মামলা করেছেন শুধু বিজেপি কর্মকর্তারাই।” দুই বিচারপতির বেঞ্চ সুরাত আদালতের রায়ের সমালোচনা করে বলেছে, ‘‘কেন রাহুল গান্ধীকে অপরাধমূলক মানহানির মামলার সর্বোচ্চ শাস্তি, দু’বছরের জেলের সাজা দেওয়া হল, তার কোনও যুক্তিগ্রাহ্য কারণ সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালত দেখাতে পারেনি।’’
আরও পড়ুন: Indian railways: এবার থেকে ট্রেনে বেশি ঘুমালেই জরিমানা! জানুন রেলের নতুন নিয়ম