দার্জিলিং, কালিম্পংয়ের গ্রামগুলো যখন একে-একে জনপ্রিয় হতে শুরু করেছিল, তখন বহুজনের নজর করে সিটংয়। ছবির মতো সাজানো গ্রাম সিটং। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা সারা বছর পর্যটকদের আনাগোনা লেগে থাকে এখানে। শীতে কমলালেবুর টানে পর্যটকেরা ভিড় জামান এখানে। যে কারণে অনেকেই ‘অরেঞ্জ ভিলেজ’ নামে ডাকেন । সিটংকে কেন্দ্র করে যে কয়েকটি পাহাড়ি জনপদও অনেকের মনে কেড়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল ঘালেটার ও থামদাঁড়া।
ঘালেটার
আপার সিটং-এর ছোট্ট গ্রাম ঘালেটার। সিটং থেকে একটু উপরে। পরিষ্কার আকাশ থাকলে হোম স্টের বারান্দায় বসে দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা।যদি সারাদিন সে দিকে তাকিয়ে বসে থাকেন, তাহলে তার রূপ দেখতে দেখতে সময়ের খেই হারিয়ে ফেলবেন।আপনাকে সঙ্গে দেবে হিমালয়ান পাখিরা। রং-বেরঙের প্রজাতির দল আপনার মন ভোলাবে।কমলালেবুর বাগান আপনার সবসময়ের সঙ্গী হবে। পাহাড়ের প্রতিটা বাড়ির উঠোনে লাগানো অর্কিড, ও বাহারি ফুলের বাড়বাড়ন্ত রয়েছে। ঘালেটারের উপর দিয়ে বয়ে চলেছে রিয়াং নদী। দূর থেকে দেখলে মনে হবে রঙ-তুলি দিয়ে কেউ এঁকে দিয়ে উপত্যকা।
নিউ জলপাইগুড়ি থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটারের পথ ঘালেটার। সেবক ধরে কালিঝোরা হয়ে বিরিক মোড় থেকে বাঁ হাতের রাস্তায় উপরে উঠে গেলেই পৌঁছে যাবেন ঘালেটার। হাতে গোনা ২-১টা হোম স্টে রয়েছে ঘালেটারে। ঘালেটারের খুব কাছেই রয়েছে অহলদাঁড়া। যেতে পারেন সিটং ও কার্শিয়াং। আর ৩৫ কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে দার্জিলিং।
থামদাঁড়া
সিটং ওয়ান এবং টু—এই দু’ভাগে বিভক্ত। সিটং ওয়ানের সর্বোচ্চ পাহাড়ের চূড়া হল এই থামদাঁড়া। যেখানে গিয়ে আপনাকে থমকে দাঁড়াতেই হবে। গোটা জনপদ জুড়ে রয়েছে একাধিক চা-বাগান। তার সঙ্গে রয়েছে পোখরি। পাঁচটি জলাশয়ের সমষ্টি —পাঁচপোখরি। চা বাগান ও পোখরি দেখার টানেই পর্যটকেরা আসেন থামদাঁড়ায়। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে সেবক হয়ে থামদাঁড়া প্রায় ৬০ কিলোমিটারের রাস্তা।