হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হল রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। স্ট্রেচারে করে এনে তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হয়। সঙ্গে ছিলেন চিকিৎসক এবং স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য। আপাতত কড়া নজরদারিতেই রাখতে হবে তাঁকে। বাড়ি থেকে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হওয়ার সময় এমনটাই জানালেন তাঁর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য।
অনেকদিন পর পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে ফিরছেন তিনি। ইতিমধ্যেই হাসপাতালের তরফে তাঁর ফ্ল্যাট স্যানিটাইজ করা হয়েছে। লাগানো হয়েছে প্রয়োজনীয় ডাক্তারি যন্ত্রপাতি। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েই বাড়ি থেকে বের হন বুদ্ধ-জায়া মীরা ভট্টাচার্য। মঙ্গলবার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর পাম অ্যাভিনিউর বাড়িতে যায় উডল্যান্ডস হাসপাতালের ৪ সদস্যের হোম কেয়ার টিম। বাড়িতে চিকিৎসার ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখেন তাঁরা। এখন পুরোপুরি সংক্রমণমুক্ত বুদ্ধবাবু। রক্ত পরীক্ষার সমস্ত রিপোর্ট সন্তোষজনক। খেতে হচ্ছে না অ্যান্টিবায়োটিকও।
আরও পড়ুন: Sovan-Baishakhi Ramp Walk: শহরে নয়া রূপে শোভন-বৈশাখী! হাঁটলেন র্যাম্পে
হাসপাতাল সূত্রে খবর, একটা চিকিৎসক দল তাঁর সঙ্গে পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে যাবেন। সঙ্গে থাকবেন চিকিৎসক সপ্তর্ষি বসু, চিকিৎসক সোমনাথ মাইতি, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট ও নার্স। বারেবারে পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে অ্যাম্বুলেন্সের যন্ত্রপাতির খুঁটিনাটি। আপতকালীন পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে পুরো আইসিইউ সেট-আপেরও ব্যবস্থা রয়েছে। এরপর সর্বক্ষণের জন্য একজন নার্স তাঁর বাড়িতে থাকবেন। একজন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টও থাকবেন সারাক্ষণ। মাঝে মাঝে তাঁকে পরীক্ষা করতে যাবেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, বুদ্ধদেবের জন্য নতুন বাইপ্যাপের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাঁর যে বাইপ্যাপটি ছিল, সেটি প্রায় সাড়ে তিন বছরের পুরনো। এ ছাড়া একটি ‘কার্ডিয়াক মনিটর’ থাকবে। যার মাধ্যমে অক্সিজেনের মাত্রা (স্যাচুরেশন), রক্তচাপ, হৃদ্স্পন্দন দেখা যাবে। যাতে ঠিক ভাবে বুদ্ধদেবের শারীরিক পরিস্থিতির উপর নজর রাখা যায় এবং সেই অনুযায়ী চিকিৎসা করা যায়, তাই এই ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন: Md Salim: অভিষেককে কটাক্ষ করে ‘পতিতা’ শব্দ লিখে সমালোচনার মুখে সেলিম, পালটা কুণালের