হড়পা বানে হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh) ২১ জনের মৃত্যু হল। রবিবার থেকেই সেরাজ্যে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। তারপরেই সোমবার সোলানের সাত জনের মৃত্যুর খবর মেলে। সেই সঙ্গে শিমলার একটি মন্দির ধসে গিয়ে ৯ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। গত দু’দিনে মোট ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। হড়পা বানের (Cloud Burst) জেরে অন্তত দু’টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। এহেন পরিস্থিততে আবহাওয়া দপ্তরের আশঙ্কা, আগামী ২৪ ঘণ্টাও প্রবল বৃষ্টি হবে রাজ্যজুড়ে।
শিমলা শহরের একটি শিবমন্দিরে ধসে এখনও পর্যন্ত ন’জনের মৃত্যু হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ভেঙে পড়া কংক্রিটের চাঁইয়ের নীচে এখনও চাপা রয়েছেন ১৫-২০ জন পুণ্যার্থী। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। পাশাপাশি, মান্ডি জেলার সম্বল গ্রামে হড়পা বানে ভেসে গিয়েও সোমবার সে রাজ্যে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে।
#ShimlaLandslide#PrayersForSafety#StandingStrongTogether pic.twitter.com/fChhFMS0FF
— Sukhvinder Singh Sukhu (@SukhuSukhvinder) August 14, 2023
স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার সকালে শিমলার সামার হিলের ওই শিবমন্দিরে অন্তত ৫০ জন পুণ্যার্থী জড়ো হয়েছিলেন। ভারী বর্ষণের কারণে মন্দিরের একাংশ হঠাৎ করেই হুড়মুড়িয়ে ধসে পড়ে। কংক্রিটের নীচে চাপা পড়ে যান মন্দিরের ভিতরে থাকা পুণ্যার্থীদের অনেকে। এখনও পর্যন্ত ৯টি দেহ উদ্ধার করা গিয়েছে। তবে আরও অনেকে ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে রয়েছেন বলে আশঙ্কা প্রশাসনের। শুরু হয়েছে উদ্ধার কাজও।
হিমাচল প্রদেশের পরিস্থিতি নিয়ে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখু টুইট করে দুঃখপ্রকাশ করেছেন। শিমলার ডেপুটি কমিশনার আদিত্য নেগি সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, ভূমিধসের ঘটনায় অনেক মানুষ মাটিচাপা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অন্য দিকে, ফাগলি এলাকায় বেশ কয়েকটি বাড়ি মাটির নীচে চাপা ধসে গিয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
বন্যা এবং ভূমিধসের কারণে হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড দেশের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ রাজ্য। রবিবার প্রশাসনের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে যে, বর্ষার বিধ্বংসী রূপে হিমাচলে সাত হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হিমাচলে বর্ষার মরসুম শুরুর পর থেকে প্রায় ২৫৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
আরও পড়ুন: Assam : প্রবীণ বিজেপি নেতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছবি ভাইরাল, ‘আত্মহত্যা’ BJP নেত্রীর