কন্যাশ্রী দিবসের অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে ‘জয় ইন্ডিয়া’ শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। সোমবার আলিপুরের ধনধান্য স্টেডিয়ামে কন্যাশ্রীদের নিয়ে এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ভাষণের একেবারে শেষপর্বে সকলকে ধন্যবাদ জানাতে গিয়েই ‘জয় হিন্দ, বন্দে মাতরম, জয় বাংলা’র সঙ্গে ‘জয় ইন্ডিয়া’ও বলেন।
এবার কন্যাশ্রী দিবস ১০ বছরে পা দিল। গত দশ বছরে কন্যাশ্রী প্রকল্পে অধীনে কত সংখ্যক ছাত্রী উপকৃত হয়েছেন, এই সংক্রান্ত একাধিক বিস্তারিত তথ্য তুলে নিয়ে একটি বই প্রকাশও করেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এইদিন কন্যাশ্রী দিবসের অনুষ্ঠানে নিজের সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন “স্বাধীনতা যুদ্ধ, স্বাধীনতার লড়াই সবটাই কিন্তু বাংলা থেকে হয়েছিল। কোনদিন যদি আন্দাবান-নিকোবর জেলে যাও, দেখবে যত নাম আছে তার মধ্যে ৯০ শতাংশ নাম আছে বাংলার। আর বাদ বাকি পাঞ্জাবের। সুতরাং বাংলা যে স্বাধীনতার আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিল সেটা নতুন করে বলার প্রয়োজন লাগে না।”
আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: নিউইয়র্কের টাইমস স্কোয়ারে দাঁড়িয়ে অভিষেকের সেলফি, ভাইরাল
তিনি আরও বলেন, “বাংলা সংস্কৃতি বাংলার মেধা এগিয়ে চলুক। কেউ যেনো থামাতে না পারে। বাংলাকে আমরা চমক দেখাবো উন্নয়নের সঙ্গে। বাংলা আমার কাছে আমার ঘর, মায়ের শাড়ির আঁচল, আম্মার শাড়ির আঁচল। হিন্দু, মুসলিম, শিখ, সবাই একসঙ্গে থাকবে। বাংলা সংহতির এক প্রধান কেন্দ্র।” কন্যাশ্রী প্রকল্প প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আজ কন্যাশ্রী একটি ব্র্যান্ড। আমি বিশ্বাস করি কন্যাশ্রী দিবস সারাদেশে একদিন ওয়ার্ল্ড গাল চাইল্ড হিসেবে পালিত হবে।” মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলির উদ্দেশ্যে ও বিশেষ বার্তা রাখেন।
ক্তৃতার শেষে ‘আমার ঠিকানা’ এবং ‘মাটির ঘর’ নামে নিজের লেখা দু’টি কবিতা পাঠ করেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘আমার ঠিকানা’ কবিতাটি সিঙ্গুর নিয়ে আমরণ অনশনের ২৬তম দিনে লেখেন তিনি। এদিন কন্যাশ্রী দিবস অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে কন্যাশ্রীকে ভাল কাজ করার জন্য বেশ কয়েকটি জেলাকে সম্মানিত করা হয়। পাশাপাশি কয়েকজন ছাত্রীকে ও তাঁদের বিশেষ স্বীকৃতির জন্য সম্মান জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।