‘রাম কথা’ শুনতে গেলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। জানিয়ে দিলেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়, হিন্দু হিসেবেই তিনি এখানে এসেছেন।
জানা গিয়েছে, ভারতের স্বাধীনতা দিবসের দিনে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্ত্বরে আয়োজন করা হয়েছিল রাম কথার আসর। সেখানে উপস্থিত ছিলেন হিন্দু ধর্মগুরু মুরারি বাপু। অনুষ্ঠান চলাকালীন হঠাৎ সেখানে উপস্থিত হন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সুনক। ধর্মগুরুকে ফুল দিয়ে প্রণাম করেন তিনি। এরপরেই ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেন। সুনক বলেন, তিনি এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন একজন হিন্দু ধর্মাবলম্বী হিসেবে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়। সেই সঙ্গে মুরারি বাপুর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে তিনি সম্মানিত ও গর্বিত বলেও জানান।
নিজের ধর্মবিশ্বাস সম্পর্কে বলতে গিয়ে সুনাক জানান, তাঁর ধর্মীয় বিশ্বাস একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত বিশ্বাস। এবং সেই বিশ্বাস তাঁকে জীবনের প্রতি ক্ষেত্রে পথ দেখায়। মোরারি বাপুর মঞ্চে রাখা হনুমানের মূর্তির প্রসঙ্গে সুনাক বলেন, ”যেমন এখানে এক সোনার হনুমানের মূর্তি রয়েছে, আমার ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের অফিসেও সোনার গণেশ মূর্তি রয়েছে।” সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, ভগবান শ্রীরাম তাঁকে প্রতি মুহূর্তে অনুপ্রেরণা জোগান।
আরও পড়ুন: Anju: ধর্ম পরিবর্তন করে পাকিস্তানের বন্ধু নাসরুল্লাকে বিয়ে করলেন রাজস্থানের অঞ্জু!
ভাষণের শেষ লগ্নে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অনুষ্ঠান থেকে রামায়ণ, ভগবত গীতা ও হনুমান চালিশা পাঠ স্মৃতি হিসেবে নিয়ে যাচ্ছেন তিনি। জীবনের ঘাত-প্রতিঘাতের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে রামচন্দ্র তাঁর কাছে অনুপ্রেরণা বলেও দাবি করেন। সেই সঙ্গে সকলকে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করার আবেদন জানান সুনক।
UK Prime Minister @RishiSunak says ‘Jai Siya Ram’ also says that he is attending Katha Programme of Murari Bapu not as a Prime Minister of UK but as a ‘Hindu’
pic.twitter.com/kCJuq94uVD— Siddhant Mishra (@siddhantvm) August 15, 2023
রাজনৈতিক মহলের মতে, কুরসি বাঁচাতেই রাঘব স্মরণ করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। মাস খানেক আগেই দুটি ’টি উপনির্বাচনে হেরেছে তাঁর কনজারভেটিভ পার্টি। তৃতীয়বার উপনির্বাচনে হারলে ব্যর্থতার নয়া নজির গড়তেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। তবে একটি আসনে কোনওমতে জয় পেয়ে লজ্জার নজির আটকেছে কনজারভেটিভ পার্টি।
ব্রিটিশ রাজনীতির বিশেষজ্ঞদের মতে, পরপর হারের পরে আগামী সাধারণ নির্বাচনে অনেকটাই ব্যাকফুটে থাকবে কনজারভেটিভ পার্টি। ২০২৪ সালের শেষের দিকেই সেদেশে নির্বাচন হতে পারে। ঋষি সুনাকের সরকারের ব্যর্থতার কারণ হিসাবে উঠে আসছে ব্রিটিশ সরকারের কঠোর কর নীতি। সাধারণ মানুষের আর্থিক দুর্দশার পাশাপাশি অতিমারীর সময়ে ব্রিটিশ সরকারের পার্টি গেট নিয়েও ক্ষুব্ধ ভোটাররা। ফলে আগামী নির্বাচনে সুনাকের দল আদৌ ক্ষমতায় ফিরতে পারবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় বাড়ছে।
আরও পড়ুন: Egg Price Increase: ডিমের দামে নতুন রেকর্ড! কিনতে গিয়ে মাথায় হাত ক্রেতাদের