Unacademy sacks teacher who asked students to vote for educated candidates, row erupts

Unacademy: ‘শিক্ষিতদের ভোট দিন’, পড়ুয়াদের পরামর্শ দিয়ে চাকরি খোয়ালেন শিক্ষক

অশিক্ষিতদের হাতে ক্ষমতা না দিয়ে শিক্ষিতদের ভোট দিন। ক্লাস চলাকালীন পড়ুয়াদের পরামর্শ দিয়েছিলেন শিক্ষক। অপরাধ বলতে সেটুকুই। আর সেই অপরাধেই চাকরি খোয়াতে হল ‘এড টেক প্ল্যাটফর্ম Unacademy’র শিক্ষককে। করণের চাকরি যাওয়া প্রসঙ্গে আনঅ্যাকাডেমির যুক্তি, নিজের ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশের স্থান নয় ক্লাসরুম। পড়ানোর সময় এই ধরনের কোনও বক্তব্য রাখা যাবে না, যাতে ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি প্রকাশ পায়।

করণ সেদিন ক্লাসে আইন পড়াচ্ছিলেন। পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন, বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার লোকসভায় পেশ করা ভারতীয ন্যায় সংহিতা আইন নিয়ে। নয়া এই বিলে, ব্রিটিশ আমলের আইপিসি, সিআরপিসি এবং ভারতীয় সাক্ষ্য আইনকে পুরোপুরো বদলে ফেলা হয়েছে। ন্যায়ের কথা বলে জোর দেওয়া হয়েছে দণ্ডের উপর। বিরোধীদের দাবি, এই আইনের মাধ্যমে পুলিশি রাষ্ট্র কায়েমের চেষ্টা করছে বিজেপি। করণ সেই বিল সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, ফৌজদারি আইনের তিনি যে সমস্ত নোট তৈরি করেছিলেন তা মূল্যহীন হয়ে গেছে। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘এমনকি আমি হাসব নাকি কাঁদব তাও জানি না কারণ আমার কাছে অনেক বেয়ার এক্ট , কেসলোড এবং নোট রয়েছে যা আমি তৈরি করেছিলাম।নতুন করে সব কিছু তৈরি করা খুব কঠিন। এটা প্রত্যেকের জন্য কঠিন কাজ।কারণ আমাকে চাকরিও করতে হয়।’

আরও পড়ুন: Independence Day 2023: ‘শান্তি ফিরছে…’, লালকেল্লায় মোদীর কণ্ঠে মণিপুর

এর পরেই করণ বলেন, ‘পরের বার যখনই ভোট দেবেন, একজন শিক্ষিত ব্যক্তিকে বেছে নেবেন জনপ্রতিনিধি হিসেবে। এমন ব্যক্তিকে ভোট দিন যিনি বিষয়গুলি বোঝেন। যাঁরা অশিক্ষিত এবং শুধু নাম পরিবর্তন করতে জানেন এমন রাজনীতিবিদদের ভোট দেবেন না।’

করণ সাঙ্গওয়ান বলছেন, ভিডিও-টি প্রকাশ্যে আসার পরই নানারকম হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। এমনকী যেসব পড়ুয়া তাঁর ক্লাস করছিলেন, তাঁদেরও হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে। শুক্রবার ওই শিক্ষককে চাকরি থেকেই বরখাস্ত করে দিয়েছে Unacademy। ওই সংস্থার বক্তব্য, তারা তাদের প্ল্যাটফর্মে কোনওরকম রাজনৈতিক বক্তব্য সমর্থন করে না। তাছাড়া শিক্ষকদের ব্যক্তিগত মতামত দেওয়ার জায়াগা এই প্ল্যাটফর্ম নয়।

যদিও বরখাস্ত হওয়া ওই শিক্ষকের পাশে দাঁড়িয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। করণকে ঠিক কী অপরাধে বরখাস্ত করা হল জানতে চেয়ে Unacademy-কে বিঁধেছেন তিনি। কেজরিওয়ালের প্রশ্ন,”শিক্ষিতদের ভোট দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া কি অপরাধ? আমি নিরক্ষরদের সম্মান করি। কিন্তু জনপ্রতিনিধি হিসাবে শিক্ষিতদেরই নির্বাচিত করা উচিত বলে আমার মনে হয়। অশিক্ষিত জনপ্রতিনিধিরা কোনওদিন একবিংশ শতকের উন্নত ভারত গড়তে পারবে না,। “

এদিকে এই আবহে করণ সাঙ্গওয়ান নিজের একটি পৃথক ইউটিউব চ্যানেল খুলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ১৯ অগস্ট তিনি এই বিতর্ক প্রসঙ্গে সেই চ্যানেলে মুখ খুলবেন।

আরও পড়ুন: Bibek Debroy: নয়া সংবিধান চাই, প্রকাশ্য আবদার মোদির উপদেষ্টার, পরে সাফাই