Imran Khan: Ex-Pakistan PM to remain in jail for ‘cypher’ hearing

Imran Khan: তোষাখানা মামলায় জামিন পেয়েও মিলল না রেহাই, ফের গ্রেপ্তার ইমরান খান

জামিন পেয়েও মিলল না রেহাই। মঙ্গলবারই গ্রেপ্তার হলে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। এদিনই তোষাখানায় মামলায় জামিন পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সাইফার মামলায় গ্রেপ্তার করা হল তাঁকে। আগামিকাল, বুধবার, ৩০ আগস্ট তাঁকে আদালতে তোলা হবে।

কী এই সাইফার মামলা?  প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার পিছনে আমেরিকার ষড়যন্ত্র রয়েছে, এই অভিযোগ ছিল ইমরানের। আর সেই অভিযোগের প্রমাণ দিতে গিয়ে তিনি একটি নথি প্রকাশ্যে আনেন। জনসভায় তা প্রদর্শনও করেন। সেই নিয়েই ইমরানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। যদিও ইমরানের দাবি, তিনি যা দেখিয়েছিলেন তা সাইফার অর্থাৎ গোপন খবরের সাংকেতিক রূপ নয়।

গত বছর গদিচ্যুত হন ইমরান। তার পরই আলোচনায় আসে তোষাখানা মামলা। দুবাইয়ের এক ব্যবসায়ী দাবি করেন, বিদেশ থেকে ইমরানের উপহার পাওয়া ঘড়ি তিনি ২০ লক্ষ ডলারে কিনে নিয়েছিলেন। ওই ব্যবসায়ী জানান, ২০১৯ সালে যখন ইমরানের দল পাকিস্তানের শাসনক্ষমতায় ছিল, তখন সৌদি আরবের রাষ্ট্রপ্রধান মহম্মদ বিন সলমন তাঁকে ওই বহুমূল্য ঘড়ি উপহার দিয়েছিলেন। ওই অভিযোগে ভিত্তিতে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন ইমরানকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল।

আরও পড়ুন: Russia-Ukraine conflict: ফের রাশিয়ার ‘হৃদয়ে’ ব্যর্থ হামলা ইউক্রেনের

কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইমরান গত অক্টোবরে ইসলামাবাদ হাই কোর্টে আবেদন জানালেও আদালত তা খারিজ করে দিয়ে আদালতের বিচার প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে বলেছিল তাঁকে। তার পর গত মে মাসে ইসলামাবাদ পুলিশ লাইন্‌সের বিশেষ আদালত ইমরানকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। চলতি মাসের শুরুতে এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে আদালত সাজা ঘোষণার পরই গ্রেফতার করা হয় ইমরানকে। শনিবার ইসলামাবাদের একটি আদালত পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর প্রধানকে তিন বছরের জেলের সাজা দেয়।

পাশাপাশি ১ লক্ষ টাকার জরিমানাও করা হয়েছিল তাঁকে। বলা হয়েছিল, অনাদায়ে আরও ৬ মাস জেলে থাকতে হবে তাঁকে এবং পাঁচ বছর কোনও নির্বাচন লড়তে পারবেন না তিনি। কিন্তু শেষপর্যন্ত ইসলামাবাদ হাই কোর্ট তাঁর সাজা স্থগিত করে তাঁকে জামিনে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছিল। যদিও স্বস্তি আর পেলেন না ইমরান।

আরও পড়ুন: Denmark: কোরান পোড়ালেই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, নতুন আইন পেশ ডেনমার্কে