Sutapa Chowdhury Murder case: former lover Sushanta Chowdhury convicted by court

Sutapa Chowdhury: ৩৮৩ পাতার চার্জশিট! সুতপা খুনে দোষী সাব্যস্ত সুশান্ত

বহরমপুরে সুতপা খুনে দোষী সাব্যস্ত হল সুশান্ত। বহরমপুরের তৃতীয় দ্রুত নিষ্পত্তি (ফাস্ট ট্র্যাক) আদালতের অতিরিক্ত ও জেলা দায়রা বিচারক সন্তোষ কুমার পাঠক সুতপা চৌধুরী খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করলেন সুশান্তকে।

খুনের ১৫ মাসের মাথায় মঙ্গলবার ছিল সুতপা চৌধুরী হত্যাকাণ্ডের শুনানি।ওই শুনানিতে ছিলেন সরকারি পক্ষের আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় ও অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী পীযূষ ঘোষ। ৩৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। মৃতার বাবা-সহ সাক্ষ্য দেন ২০২২ সালের ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, সাংবাদিক, একটি ই-কমার্স সংস্থার কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী এবং পুলিশ।সমস্ত পক্ষের বক্তব্য শোনার পর সুশান্তকেই দোষী সাব্যস্ত করে আদালত।

উল্লেখ্য, গত বছর ২ মে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের শহিদ সূর্য সেন রোড দিয়ে মেসে ফিরছিলেন সুতপা। সিসি ক্যামেরাতে দেখা যায় তাঁকে অনুসরণ করছেন এক যুবক। পরে ওই যুবকের পরিচয় সামনে আসে। তিনি সুশান্ত। মেসের দরজার সামনেই সুতপার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপান ছাত্রীকে। এমন নৃশংস ঘটনায় রাজ্য জুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। পর দিনই গ্রেফতার হন সুশান্ত।

আরও পড়ুন: Robbery: দুই শহরে একই সংস্থার গয়নার শোরুমে একই সময়ে ডাকাতি! পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াই

পুলিসের তদন্তে উঠে এসেছে, পুর্বপরিকল্পিতভাবেই খুন করা হয় ছাত্রীকে। খুনের আগে অনলাইনে একটি খেলনা বন্দুকও কিনেছিল অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরী। সুতপাকে খুনের সুযোগ খুঁজতে বহরমপুরে একটি মেসে থাকতেও শুরু করেছিল সুশান্ত। শেষ যে মেসে সুশান্ত ছিল, সেই মেসের দূরত্ব সুতপার মেস থেকে মাত্র ২৫০ মিটার। ঘটনার ৭৫ দিনের মাথায় বহরমপুর আদালতে সুতপা হত্যাকাণ্ডের চার্জশিট পেশ করে পুলিস।

কলেজ পড়ুয়া সুতপার দেহে ছিল ৪২টি আঘাত। আঘাত গুরুতর হওয়াতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।সুতপা চৌধুরীর পরিবারের অভিযোগ, ২০১৭ সাল থেকেই একাধিকবার সুতপার সঙ্গে অশান্তি করেছিল সুশান্ত। তদন্তে উঠে আসে,  সুতপা চৌধুরীর উপর রাগ ও হতাশা থেকেই এই খুন। পুলিসের তদন্তে উঠে এসেছে, সুশান্তর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল সুতপা চৌধুরীর। সুতপা সেই সম্পর্ক ভেঙে বেরিয়ে আসায় এই কাণ্ড ঘটান অভিযুক্ত।

এই মামলা প্রসঙ্গে সরকারি পক্ষের আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এটা পূর্বপরিকল্পিত খুন। ঘটনার ৯ মাসের মধ্যে শুনানি শেষ করতে পেরে আমরা খুশি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এই মামলায় বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আমরা একাধিক সাক্ষীকে হাজির করিয়েছি। এমনকি, যে সংস্থা থেকে খেলনা বন্দুক কিনেছিলেন অভিযুক্ত, তার এক কর্তাও হাজির ছিলেন ভার্চুয়ালি। আমরা বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধ হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করব আদালতে। আগামিকাল (বুধবার) সাজা নির্ধারণের শুনানি হবে।’’

আরও পড়ুন: Robbery: দুই শহরে একই সংস্থার গয়নার শোরুমে একই সময়ে ডাকাতি! পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াই