চাহিদার তুলনায় হঠাৎ করে সরবরাহ কমে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার ডব্লিউবিএসইডিসিএল (পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা) এলাকার বহু জায়গায় বিদ্যুৎ ঘাটতি দেখা দিয়েছিল। সব মিলিয়ে ঘাটতি ছিল প্রায় ১,১০০ মেগাওয়াট। তবে শুক্রবার রাজ্যের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক বলে বিদ্যুৎ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।
যদিও বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বিদ্যুৎ ঘাটতির কথা উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলার জন্য কোনও কোনও জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকছে। এদিন উত্তরবঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রি-পুজো প্রিপারেশন চলছে। পুজোর আগে আমাদের তার, ট্রান্সফর্মার চেঞ্জ হচ্ছে। সেটা মাইকিং করেই হচ্ছে। ফলে এখন একটু সমস্যা হবে।’
একই সঙ্গে পিডিসিএলের সাগরদিঘি ও বক্রেশ্বরে দুটি ইউনিট প্রাক-পুজো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ রয়েছে। এর ফলে, সরবরাহ এক ধাক্কায় ৫১০ মেগাওয়াট কমে গিয়েছিল বলে সূত্রের খবর। অন্যান্য সূত্র থেকে ডব্লিউবিএসইডিসিএল যে পরিমাণ বিদ্যুৎ পায়, বৃহস্পতিবার সেখান থেকেও সরবরাহ কম থাকায় ঘাটতি ১ হাজার মেগাওয়াট পেরিয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে বাজার থেকে বিদ্যুৎ কিনে অবস্থার কিছুটা সামাল দেওয়া হয়েছে বলে বিদ্যুৎ দপ্তর সূত্রে খবর।
অন্য একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, পিডিসিএলের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে কয়লা বাড়ন্ত হওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রভাব পড়েছে। কয়লার জোগান বাড়াতে শুক্রবার কোল ইন্ডিয়া থেকে বাড়তি কয়লা কেনা হয়েছে বলে ওই সূত্র জানিয়েছেন। যদিও পিডিসিএলের এক পদস্থ আধিকারিক শুক্রবার বলেন, ‘আমাদের আজ কয়লার স্টক ছিল ১.০৭ লক্ষ টন। কয়লার মজুতে কোনও সমস্যা নেই। রোজ আমাদের ১৬ রেক মতো কয়লা লাগে। আজ ১৮ রেক কয়লা ঢুকেছে। আগামী সোমবার সাগরদিঘি ও বক্রেশ্বরের ইউনিট দুটি চলে আসবে।’
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: মিলল কেন্দ্রের অনুমতি, লগ্নি টানতে স্পেন এবং দুবাই যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা