স্টিক সার্জারি করিয়েছিলেন। তার জেরেই অল্প বয়সে প্রাণ হারালেন আর্জেন্টিনার জনপ্রিয় মডেল তথা অভিনেত্রী সিলভিনা লুনা (Silvina Luna)। হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন তিনি। পরিবারের সম্মতিতেই তা সরিয়ে দেওয়া হয়।২০১১ সালে তার প্লাস্টিক সার্জারি করানো হয়। এর সঙ্গে নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়। তার কিডনি নষ্ট হয়ে যায়। তার আইনজীবী ফার্নান্দো বুরনান্দো মৃত্যুর খবর প্রচার করেন।
আইনজীবী বলেছেন, লুনাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা তা সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন। ফলে তার মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। তার এক বন্ধু ও অভিনেতা গুস্তাভো কোন্টি ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট দিয়েছেন তার মৃত্যুর এ খবরে।
আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, মৃত্যুর মাত্র দু’সপ্তাহ আগে প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছিলেন সিলভিনা। তবে অস্ত্রোপচারের পরিণতি এতটা ভয়ঙ্কর হবে, তা বুঝতেই পারেননি তিনি। অস্ত্রোপচারের পর থেকেই নানা শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে শুরু করে সিলভিনার শরীরে। কিডনি বিকল হয়ে যায় তাঁর।
চিকিৎসকদের শত চেষ্টার পরেও শেষরক্ষা হল না। ২০১৫ সালে কিডনিতে পাথর জমার কারণে হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন সিলভিনা। তখন চিকিৎসকেরা বলেছিলেন, তাঁর কিডনির অবস্থা মোটেই ভাল নেই। হাইপারক্যালশিমিয়া অর্থাৎ শরীরে ক্যালশিয়ামের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণেই তাঁর কিডনিতে সমস্যা শুরু হয়েছিল।
চিকিৎসকেরা আগেই জানিয়েছিলেন যে, কিডনি প্রতিস্থাপন না হওয়া পর্যন্ত নিয়মিত ডায়ালিসিস চালিয়ে যেতে হবে সিলভিনাকে। এর পরে ২০১৬ সালে বোটক্স করান তিনি। সেই অস্ত্রোপচারের পর থেকে অটোইমিউন ডিজ়িজ়ে আক্রান্ত হন সিলভিনা। তার পরেও সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য তিনি মৃত্যুর আগে আবারও অস্ত্রোপচার করাতে উদ্যোগী হন। আরও সুন্দরী হয়ে ওঠার বাসনাই শেষে প্রাণ কাড়ল সিলভিনার।