New Parliament House: Parliament's special session moves to new building on Ganesh Chaturthi, Sept 19

New Parliament House: গণেশ চতুর্থীতে বিশেষ অধিবেশন নতুন সংসদ ভবনে, নাম বদল নিয়ে মন্ত্রিসভাকে চুপ থাকার নির্দেশ মোদীর

জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের (G-20 Summit) পর আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ সেপ্টেম্বর সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডেকেছে কেন্দ্র। পুরনো সংসদ ভবনেই শুরু হবে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। তারপর গণেশ পুজোর দিন নয়া সংসদ ভবনে সংসদের বিশেষ অধিবেশন হবে। সূত্র উদ্ধৃত করে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা এএনআই। ওই সংবাদসংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর সংসদের বিশেষ অধিবেশন শুরু হবে। পরদিনই গণেশ পুজো পড়েছে। সেদিন নয়া সংসদ ভবনে হবে সংসদের বিশেষ অধিবেশন।

সাধারণত, বছরে তিন দফায় সংসদের অধিবেশন হয়, বাজেট অধিবেশন, বাদল অধিবেশন এবং শীতকালীন অধিবেশন। তাই হঠাৎ করে পাঁচ দিনের বিশেষ অধিবেশন ডাকার কী প্রয়োজন পড়ল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। তবে ঘোষণার পর দিনই জানা যায়, ‘এক দিন, এক নির্বাচন’ নীতি কার্যকর করতে আট সদস্যের বিশেষ কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্র। পঞ্চায়েত থেকে বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচন যাতে একসঙ্গে করানো যায়, তা বিবেচনা করে দেখতে বলা হয় ওই কমিটিকে। তাই সংসদের এই অধিবেশনে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নীতি কার্যকর করতে বিল আনা হতে পারে বলে জল্পনা। একই সঙ্গে দেশের নাম শুধু ‘ভারত’ রাখা নিয়েও, সংবিধান সংশোধনের বিল আনা হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, লোকসভা এবং রাজ্যসভা, সংসদের দুই কক্ষেরই অধিবেশন বসছে। তবে প্রশ্নোত্তর পর্ব বা প্রাইভেট মেম্বার্স বিল থাকছে না এই অধিবেশনে। (New Parliament Building)।

এরইমধ্যে, সংসদের বিশেষ অধিবেশনে কেন ডাকা হয়েছে স্পষ্ট করুক সরকার। এই দাবিতে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) চিঠি লিখলেন কংগ্রেসের সংসদীয় দলের নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে সোনিয়া বলছেন, কোনওরকম আলোচনা ছাড়াই হঠাৎ কেন সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হল? স্পষ্ট করুক সরকার।

আরও পড়ুন: Crime News: ‘পুত্রবধূকে শয্যাসঙ্গিনী করতে চাই’, স্বামীর মুখে ‘কুকথা’ শুনে গলা কাটল স্ত্রী

সোনিয়া সংসদের ওই বিশেষ অধিবেশনে আলোচনার জন্য ৯টি ইস্যুও তুলে ধরেছে। তাঁর দাবি, মূল্যবৃদ্ধিকে মাথায় রেখে অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা করতে হবে। ন্যূনতম সহায়ক মূল্য এবং কৃষকদের সমস্যা নিয়ে কথা বলতে হবে, আদানি (Gautam Adani) মামলায় যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠনের দাবি নিয়ে চর্চা করতে হবে, মণিপুরের পরিস্থিতিতে আলোকপাত করতে হবে, হরিয়ানার মতো রাজ্যে সাম্প্রদায়িক অশান্তির আবহ নিয়ে আলোচনা করতে হবে, চিনা আগ্রাসন নিয়ে সরকারের অবস্থান জানাতে হবে, দ্রুত জাতি সমীক্ষা নিয়ে কথা বলতে হবে, কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক নিয়ে আলোকপাত করতে হবে এবং বিভিন্ন রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে হবে।

অন্যদিকে, ‘ইন্ডিয়া বনাম ভারত’ বিতর্ক নিয়ে মন্তব্য করার বিষয়ে সতর্কতা বজায় রাখার জন্য দলের মন্ত্রীদের নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে সব নেতার কথা বলার কোনও প্রয়োজন নেই। যাঁরা এ সংক্রান্ত বিষয়ে বিবৃতি দেওয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত তাঁদেরও সতর্ক ভাবে মুখ খোলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। বিজেপি সূত্রের খবর, জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের আগে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ বিষয়ে মোদীর নির্দেশ, ‘‘ইতিহাস ঘাঁটতে যাবেন না। কিন্তু ভারতীয় সংবিধান অনুসরণ করে বাস্তব অবস্থা তুলে ধরুন। সমসাময়িক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলুন।’’

আরও পড়ুন: Bharat: বিরোধী জোটের India নামের জের, সরকারি ভাবে নামই বদলে গেল দেশের?