রাজধানী দিল্লিতে বসবে G-20 সম্মেলন। এর প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। অতিথিদের জন্য খাবার ও পানীয়েরও বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। হোটেলগুলিতে বিশেষ খাবারের পাশাপাশি বিশেষ ডিনার সেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অতিথিদের রুপো এবং সোনার প্লেটে খাবার পরিবেশন করা হবে।
জয়পুরের একটি ধাতব পণ্য প্রস্তুতকারী সংস্থা এই তথ্য দিয়েছে। রাজস্থানের রাজধানী জয়পুরের ওই মেটালওয়্যার কোম্পানি জানিয়েছে, এখানে G-20 সম্মেলনে যোগদানকারী রাষ্ট্রপ্রধান এবং অন্যান্য বিশ্ব নেতাদের ভারতের বিশেষ রূপোর পাত্রে খাবার দেওয়া হবে।এই বাসন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান জানায়, তাদের কোম্পানি আইটিসি তাজসহ ১১টি হোটেলে বাসনপত্র পাঠাচ্ছে। এর আগে, প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামা যখন ভারতে এসেছিলেন, তিনি খাবারের সঙ্গে ভারতীয় ক্রোকারিজ এত পছন্দ করেছিলেন যে এগুলি সঙ্গে নিয়ে যান।
আরও পড়ুন: GharJamai: বিবাহিত পুরুষকে ঘরজামাই হতে চাপ দেওয়া নিষ্ঠুরতা, রায় দিল্লি হাই কোর্টের
আইরিস জয়পুর নামক ওই সংস্থার মালিক রাজীব পাবুওয়াল জানিয়েছেন, এই ডিনার সেটগুলো তৈরি করতে ৫০ হাজার ঘন্টা সময় লেগেছে, যার উপর জয়পুর, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর প্রদেশ, কর্ণাটক এবং দেশের অন্যান্য অংশের কারিগররা কাজ করেছেন।এই বাসনপত্র তৈরির পর সেগুলি গবেষণা ও উন্নয়ন ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়, তারপর হোটেলের চাহিদা অনুযায়ী ডিজাইন করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, মহারাজা থালিতে থাকে ৫ থেকে ৬টি বাটি, কাঁটা, চামচ, নুন এবং পেপারের জন্য একটি পৃথক রুপোর বাক্স থাকবে। এই পাত্রগুলি আইটিসি মৌর্যেও ব্যবহৃত হয়।
#WATCH | Delhi: Delegates of the G20 Summit to be served in silverware and gold utensils pic.twitter.com/1f2Zm0wGTL
— ANI (@ANI) September 6, 2023
জানা গিয়েছে, G-20-এর জন্য মহারাজা থালির নকশাতে দক্ষিণ ভারত থেকে নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন হোটেলের শেফরা তাদের মেনু ঠিক করেছেন। সেই অনুযায়ী পাত্রের নকশা করা হয়েছে। অর্থাৎ মেনুর কথা মাথায় রেখেই বাসন ডিজাইন করা হয়েছে। G-20 এর জন্য এই ডিজাইনটি তৈরি করতেও অনেক সময় লেগেছে কারণ এটি বেশ অনন্য। বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া এসব পাত্রের মাধ্যমে দেখানো হচ্ছে ভারতের ঐতিহ্য।
হোটেলগুলিতে জমকালো লাঞ্চ এবং ডিনারে এই বিশেষ পাত্রগুলিই ব্যবহার করা হবে। সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা, তা নিশ্চিত করার জন্য ওই কারখানাটি মঙ্গলবার একটি প্রিভিউয়ের আয়োজন করেছিল। যা রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছে। তবে এইধরনের সোনা-রুপোর পাত্র তৈরির জন্য যেভাবে টাকা খরচ করা হয়েছে, তাতে ক্ষুব্ধ নাগরিকদের একাংশ। তাঁরা ইতিমধ্যে কেন্দ্র সরকারের এভাবে জলের মতো টাকা খরচ করা নিয়ে বিরোধিতা শুরু করেছেন। এক্স হ্যান্ডলে একজন নেটিজেন লিখেছেন, “মনে হচ্ছে বাপ ঠাকুরদার জমিদারির টাকা, তাই ইচ্ছেমতো হরির লুট দিচ্ছে। যাঁরা আসছেন তাঁরা তো সব গোমুখ্যু, কিচ্ছুটি খোঁজ রাখেন না এই দেশের হাল হকিকত।”
আরও পড়ুন: Digene Gel: ডাইজিন সিরাপে স্বাদ-গন্ধ নিয়ে অভিযোগ, ব্যবহার করতে নিষেধাজ্ঞা কেন্দ্রের