পদোন্নতি বা চাকরি দেওয়ার লোভ দেখিয়ে মহিলা কর্মীদের প্রায়ই যৌন নির্যাতন করেন পুরুষ ‘বস’রা। এর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার সুপারিশ রয়েছে নতুন দণ্ড সংহিতায়। কিন্তু মহিলা ‘বস’ যদি ওই দোষে দুষ্ট হলে কী হবে? দণ্ড সংহিতা বিল নিয়ে এই প্রশ্ন তুললেন বিজেপি সাংসদ নীরজশেখর। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে এই সওয়াল করা হয়।
চাকরি দেওয়ার নাম করে কিংবা চাকরিতে পদোন্নতির লোভ দেখিয়ে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ প্রায়শই সামনে আসে। সরকারি বা বেসরকারি, প্রায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এ ধরনের যৌন উৎপীড়নের স্বীকার মূলত হন মহিলারাই। সেই কারণে কেন্দ্রীয় সরকারের আনা দণ্ড সংহিতা বিলে এ ধরনের (পুরুষ) ‘বস’-দের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল। দোষী প্রমাণিত হলে আর্থিক জরিমানার পাশাপাশি দশ বছরের কারাদণ্ডের সুপারিশও আছে এই নতুন দণ্ড সংহিতায়।
আরও পড়ুন: G20 Summit: G-20 ডিনারে খাবার দেওয়া হবে সোনা-রুপোর থালা-বাটিতে, দেখুন Video
‘‘কিন্তু মহিলা বস যদি অধস্তন পুরুষ কর্মীর যৌন নির্যাতন করেন, সে ক্ষেত্রে কী হবে?’’ বৃহস্পতিবার দণ্ড সংহিতা বিল নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে আলোচনার সময়ে এই প্রশ্ন তোলেন বিজেপি সাংসদ নীরজশেখর। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রশেখরের ছেলে নীরজ জানতে চান, ‘বস’ যদি মহিলা হন এবং তাঁর বিরুদ্ধে যদি যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে সে ক্ষেত্রে সাজার কী ব্যবস্থা থাকছে? তাঁকে সমর্থন করেন দিলীপ ঘোষ-সহ একাধিক সাংসদ। দিলীপ-নীরজদের মতে, সময় বদলাচ্ছে দ্রুত। বহু সংস্থার সিইও এখন মহিলা। তা হলে কেন অভিযোগের তির কেবল পুরুষদের দিকে উঠবে? কেন ছাড় পাবেন মহিলা ‘বস’-রা? সাংসদদের পরামর্শ, চাকরি ক্ষেত্রে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় যদি মহিলারা দোষী সাব্যস্ত হন, তা হলে লিঙ্গ বিচার না করে সমান শাস্তি দেওয়া হোক।
অন্য দিকে এই দিন নয়া অভিযোগ তোলেন বিরোধীরা। স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিরোধীদের বক্তব্য বৈঠকের কার্যবিবরণীতে নথিভুক্ত করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ব্রিজলালের কাছে চিঠি লিখে অভিযোগ করেছেন কমিটির সদস্য তথা তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন।