সংসসদের বিশেষ অধিবেশন শুরুর আগের দিন সর্বদল বৈঠক ডাকল কেন্দ্র। আগামী রবিবার (১৭ অগস্ট) সংসদ ভবনে ওই বৈঠক হবে। সর্বদল বৈঠকে সংসদের বিশেষ অধিবেশনের আলোচ্যসূচি সম্পর্কে আভাস মিলতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।
আগামী সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ তারিখ শুক্রবার পর্যন্ত হবে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। সূত্রের খবর, ১৯ সেপ্টেম্বর গণেশ চতুর্থীতে পুজো করা হবে নতুন সংসদ ভবনে। তার আগে ১৮ সেপ্টেম্বর পুরনো সংসদ ভবনকে আনুষ্ঠানিক বিদায় জানানো হবে। বাকি দিনগুলিতে ৪ টি বিল আনবে মোদী সরকার। তারমধ্যে রয়েছে পোস্ট অফিস সংশোধনী বিল, অ্যাডভোকেটস বিল , নির্বাচন কমিশনার সংশোধনী বিল এবং প্রেস রেজিস্ট্রেশন বিল। সংসদের বিশেষ অধিবেশনের আগের দিন রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে চারটেয় সর্বদল বৈঠক ডেকেছে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রক। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দলের সংসদীয় নেতাদের ই মেলে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিরোধী নেতাদের একাংশ মনে করছেন, সংসদের বিশেষ অধিবেশনে ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি’ প্রণয়ন এবং সংবিধান সংশোধন করে ‘ইন্ডিয়া’ নাম ছেঁটে ফেলে শুধু ‘ভারত’কে স্বীকৃতি দেওয়ার বিল পাশ করানোর চেষ্টা করবে মোদী সরকার। বিশেষ অধিবেশন চলাকালীনই প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে গঠিত ‘এক দেশ এক ভোট’ সংক্রান্ত কমিটির সুপারিশও প্রকাশ্যে আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
সংসদের বিশেষ অধিবেশনে ন’টি বিষয় নিয়ে আলোচনা করার আর্জি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে গত সপ্তাহে চিঠি দিয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী। ওই ন’টি বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য সময় বরাদ্দ করার আর্জিও জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে। তবে আর্জি জানানোর পাশাপাশি, সরকারকে নিশানা করে চিঠিতে বলা হয়েছে, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনা না করে সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে। এর ফলে সংসদে কোন বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হবে, সে বিষয়ে বিরোধী দলগুলি ‘অন্ধকারে’ বলেও প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রীর অভিযোগ।
সনিয়ার প্রস্তাবিত ন’টি বিষয়ের মধ্যে রয়েছে মূল্যবৃদ্ধি, মণিপুর সঙ্কট, এমনকি আদানি বিতর্ক। পাশাপাশি, জাতগণনা বিতর্ক, ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি)-র দাবিতে রাজ্য রাজ্যে কৃষকদের আন্দোলন, হরিয়ানা-সহ কয়েকটি রাজ্যে সাম্প্রতিক গোষ্ঠীহিংসা নিয়েও বিশেষ অধিবেশনে আলোচনার দাবি জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: Kerala HC: ব্যাক্তিগত পরিসরে নীলছবি দেখলে তা অপরাধ নয়, রায় কেরালা হাইকোর্টের