কেরালায় এখন আতঙ্কের আর এক নাম নিপা ভাইরাস। নিপা ভাইরাসের সংক্রমণের জেরে কেরালার সাতটি গ্রামকে ইতিমধ্যেই ‘কনটেনমেন্ট জোন’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
কেরলের কোঝিকোড়ে ৩৯ বছরের এক ব্যক্তি নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এই নিয়ে কেরলে নিপা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৬। এর মধ্যে মৃত্যু হল ২ জনের। কেন্দ্র ইতিমধ্যেই কেরালায় এক্সপার্ট টিম পাঠিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুক মাণ্ডব্য আজ, মঙ্গলবার কেরলের এই দুটি মৃত্যুকে ‘আনন্যাচারাল ডেথস’ বলে উল্লেখ করেছেন। ভাইরাসের সংক্রমণ বন্ধ করতে কেরালার বেশ কিছু স্কুল-কলেজ বন্ধ করা হয়েছে এ সপ্তাহে।
বুধবারই স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ জানিয়েছিলেন, নিপায় আক্রান্ত সংস্পর্শে এসেছেন এমন ব্যক্তিদের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছেন ৭০৬ জন। তাঁদের মধ্যে ১৫৩ জন স্বাস্থ্যকর্মী। তিনি আরও জানিয়েছেন, নিপায় আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা লোকজনদের চিহ্নিতকরণের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। কোনও উপসর্গ ধরা পড়লেই একান্তবাসে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Chandrababu Naidu: দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার চন্দ্রবাবু নাইডু, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ দল
নিপার যে রূপটি কোঝিকোড়ে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, সেটি বাংলাদেশ রূপ। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এই ভাইরাসের এখনও কোনও প্রতিষেধক তৈরি হয়নি। ফলে সংক্রমণের তুলনায় মৃত্যুর হার বেশি। ফলে এই ভাইরাসকে যাতে দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা যায়, এখন সে দিকেই নজর কেরল সরকারের।
কেরলের পাশাপাশি কর্নাটক এবং রাজস্থানেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রাজস্থান সরকার বৃহস্পতিবার নিপা নিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে। একই সঙ্গে, সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালগুলিকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কর্নাটকেও নিপা ঠেকাতে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ২০১৮ সালে কেরলে নিপার সংক্রমণ ছড়ায়। তার পর ২০১৯ এবং ২০২১ সালেও এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছিল ভারতের উপকূলবর্তী এই রাজ্যে।
আরও পড়ুন: Birth Certificate New Rule: আধার নয়, জন্মের শংসাপত্রই এখন থেকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথি!