বাংলাদেশের ছবিতে কাজ করতে করতেই ফিরে এসেছেন টলি অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই থেকেই চারিদিকে নানা বিতর্কের শুরু। এ ওকে দোষ দেয়, তো সে তাকে। বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত একটি খবর অনুযায়ী, অভিনেত্রীর গায়ে অযথা বারবার স্পর্শ করার চেষ্টা করেন ছবির কোরিওগ্রাফার মাইকেল। আর তাতেই অস্বস্তিবোধ করতে থাকে অভিনেত্রী। সায়ন্তিকা নিজে একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন যে তিনি নৃত্য পরিচালককে বারনও করেছিলেন। তবে তাঁর মতে এসবের পিছনে আসল যিনি রয়েছেন তিনি ছবির প্রযোজক। তবে এবার অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন প্রযোজক মনিরুল ইসলাম।
‘ছায়াবাজ’ ছবির প্রযোজক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘সায়ন্তিকার সব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও হাস্যকর। হাত ধরা নিয়ে সায়ন্তিকার সমস্যা মাইকেলবাবুর সঙ্গে। পরিচালককে ফোন করে মাইকেলবাবুকে মারতেও চেয়েছিলাম। এখন আমার বিরুদ্ধে সায়ন্তিকা কেন অভিযোগ করছেন, সেটাই তো বোধগম্য নয়।”
আরও পড়ুন: Jawan: অবশেষে মিলল সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র, আজই বাংলাদেশে মুক্তি পাচ্ছে ‘জওয়ান’
শুটিংয়ে অব্যবস্থাপনার যে অভিযোগ অভিনেত্রী আনেন, সেই প্রসঙ্গে মনিরুল বলেন, ‘‘কী ভাবে শুটিং হবে, এটা ঠিক করেন পরিচালক। আগে থেকে পরিকল্পনা ছিল গানের দৃশ্য দিয়ে শুরু হবে শুটিং। অপেশাদারি আচরণ আমি নই, সায়ন্তিকা করেছেন। চুক্তির বাইরে আমরা তাঁকে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছি পোশাকের জন্য। অথচ তিনি পোশাক না নিয়ে চলে আসেন। এর পর আবার ড্রেসম্যান মনিরকে দিয়ে পোশাকের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। সেই পোশাকগুলোও সায়ন্তিকা ফেরত দিয়ে যাননি।’’
পোশাক নিয়ে চম্পট দেওয়া ছাড়াও আরও এক বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন মনিরুল। এ বার সায়ন্তিকার সঙ্গে টেনে আনলেন জায়েদ খানকেও। তিনি বলেন, ‘‘গানের শুটিংয়ে পোশাক পরিবর্তন করার জন্য ২টোর সময় হোটেলে যান নায়ক-নায়িকা। ফিরে আসেন সন্ধ্যা ৬টায়। ড্রেস চেঞ্জ করতে চার ঘণ্টা সময় লাগে, এমনটি কখনও দেখিনি।’’
আরও পড়ুন: Gaurav-Ridhima: গৌরব-ঋদ্ধিমার কোলজুড়ে নয়া অতিথি, দাদু হলেন ‘ফেলুদা’