চিনে হওয়া এশিয়ান গেমসে তিন ভারতীয় ক্রিয়াবিদকে ভিসা দেয়নি বেজিং। এরা তিনজনেই অরুণাচল প্রদেশের বাসিন্দা। বিষয়টি সামনে আসার পরেই কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, “নয়াদিল্লি থেকে চরম প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে বেজিংয়ে ভারতের দূতাবাস থেকেও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। চিন ইচ্ছাকৃত ভাবে আমাদের খেলোয়াড়দের যেতে দেয়নি। এশিয়ান গেমসের নিয়ম ভেঙেছে ওরা।আমাদের দীর্ঘস্থায়ী এবং ধারাবাহিক অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, ভারত জাতিগত ভিত্তিতে ভারতীয় নাগরিকদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি আমরা। অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে।”
এ বারের এশিয়ান গেমস হচ্ছে চিনের হাংজু শহরে। ভারতের তিন মহিলা উশু খেলোয়াড় নেইমান ওয়াংসু, ওনিলু তেগা এবং মেপুং লামগুকে ভিসা দেয়নি চিন। ১১ জনের উশু দলের এশিয়ান গেমস খেলতে যাওয়ার কথা ছিল। সাত জন পুরুষ এবং চার জন মহিলা খেলোয়াড় ছিলেন সেই দলে। বুধবার রাতে বিমান ছিল তাঁদের। কিন্তু ওই তিন খেলোয়াড় তাঁদের ছাড়পত্র পাননি। দলের সঙ্গে বিমানে উঠতে না পারা ওই তিন খেলোয়াড়কে দিল্লির হস্টেলে রাখা হয়েছে। ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে উশু প্রতিযোগিতা শুরু। চলবে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: Mohun Bagan vs East Bengal: কাটল ২৩ বছরের খরা! ‘দশে মিলে’ ডুরান্ড জয় মোহনবাগানের
এই বছর জুলাই মাসেও এমন সমস্যা হয়েছিল। বিশ্ব বিশ্ববিদ্যালয় গেমসে অংশ নিতে চিনের চেংদু যাওয়ার কথা ছিল ভারতের উশু দলের। সে বারও এই তিন খেলোয়াড়ের ভিসা দেয়নি চিন। গত ১৬ জুলাই চিনের ভিসার জন্য আবেদন করে গোটা দল। সকলের ভিসা মঞ্জুর করা হলেও অরুণাচলের ওই তিন খেলোয়াড়ের ভিসা মঞ্জুর করেননি চিন কর্তৃপক্ষ। ওই তিন খেলোয়াড়কে পরে আবার ভিসার আবেদন করার জন্য বলে চিনের দূতাবাস। তাঁদের তখন স্ট্যাপলড ভিসা (স্বাভাবিক ভিসা নয়) দেওয়া হয়।
এশিয়ান গেমসেও ইচ্ছাকৃত ভাবে ওই তিন খেলোয়াড়কে ভিসা দেওয়া হয়নি বলে মনে করছে ভারত। প্রসঙ্গত, ওই তিন ক্রীড়াবিদ হ্যাংঝো এশিয়ান গেমস অর্গানাইজিং কমিটি (HAGOC) থেকে স্বীকৃতি কার্ড পেয়েছিলেন। এই নথি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গেমগুলিতে অংশ নেয়ার স্বীকৃতি পত্র। ওই স্বীকৃতি কার্ড তিন খেলোয়াড়কে তাঁদের ভ্রমণ নথির সঙ্গে ডাউনলোড করতে হয়েছিল। বুধবার রাতে ভারতীয় উশু দল হংকং হয়ে নয়াদিল্লি থেকে হ্যাংজু পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছলে এই তিন খেলোয়াড় নথি ডাউনলোড করতে পারেননি। অভিযোগ, ইচ্ছাকৃত ভাবে ওই তিন খেলোয়াড়ের নথি আপলোডই করেনি চিনা কর্তৃপক্ষ।