ফের ডেঙ্গুতে (Dengue) মৃত্যু কলকাতায়। এবারও প্রাণ গেল এক স্কুল ছাত্রীর। শনিবার এম আর বাঙুর হাসপাতালে বিজয়গড় এলাকার বাসিন্দা কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। তার ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গুর উল্লেখ রয়েছে।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কিশোরীর নাম ডোনা দাস। বয়স ১২ বছর। যাদবপুরের (Jadavpur) বিজয়গড়ের বাসিন্দা। যাদবপুর গার্লস হাই স্কুলের সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া ডোনা গত সাতদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিল। বাড়িতেই চিকিৎসা চলছিল। শনিবার অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় তাকে বাঙুর হাসপাতালে ভরতি করা হয়। সেখানে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা চলাকালীন তার মৃত্যু হয়।
দিন তিনেক আগেই দক্ষিণ দমদম পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মতিঝিল গার্লস স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর মৃত্যু হয় বুধবার। সংযুক্তা পাল নামের ওই পড়ুয়া গতকাল থেকে ভিআইপি রোডের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। পরে তার মৃত্যু হয়। দমদমে যেভাবে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বাড়িতে রেখে ডোনার চিকিৎসা করা হচ্ছিল। একেবারে শেষ মূহুর্তে হাসপাতালে আনা হয়। আগে হাসপাতালে আনলে হয়তো এ ধরনের ঘটনা ঘটত না। বারবার বলা হচ্ছে, ডেঙ্গু হলে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিন। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই সেই পরামর্শ কানে তুলছেন না অনেকে। মৃত ছাত্রীর মা দোলা দাস কান্নাভেজা গলায় জানিয়েছেন, মেয়ের জ্বরের চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু এত বাড়াবাড়ি হবে বুঝতে পারিনি।
এর আগে, দক্ষিণ দমদম পুর এলাকার বাসিন্দা ১৬ বছরের কিশোরীর ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে। কিশোরীর নাম মধু সিং। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। সূত্রের খবর, দিনকয়েক ধরে জ্বরে আক্রান্ত ছিল সে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।