গত কয়েকদিনে রাজ্যে ডেঙ্গির পরিসংখ্যান বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। পরিসংখ্যানের এই বারবারন্ত স্বাস্থ্যকর্তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসক ও জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই বৈঠক করেছেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের তিনটি জেলায় ডেঙ্গি পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ এবং উত্তর ২৪ পরগনা,এই তিন জেলায় ডেঙ্গি ভাইরাস অতি সক্রিয়। প্রায় প্রতি দিনই শতাধিক মানুষ মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। ভিড় বাড়ছে হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে। তিন জেলার মধ্যে ডেঙ্গিতে মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি উত্তর ২৪ পরগনায়।
আরও পড়ুন: KMC: কলকাতা পুরসভায় ধুন্ধুমার! মেয়রের সামনেই হাতাহাতি শাসক-বিরোধী কাউন্সিলরদের
তিনটি জেলায় মোট আটটি হটস্পট চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। মুর্শিদাবাদের সুতি, লালগোলা, ভগবানগোলা ব্লক, নদিয়ার রানাঘাট, হরিণঘাটা ব্লক এবং উত্তর ২৪ পরগনার দক্ষিণ দমদম, বনগাঁ এবং বিধাননগরে ডেঙ্গি তুলনায় অনেক বেশি।মুর্শিদাবাদ জেলার স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, শনিবার পর্যন্ত সেখানে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা দু’হাজার ছাড়িয়েছে। বেসরকারি হিসাব বলছে, আক্রান্তের সংখ্যা চার হাজারের বেশি।
উদ্বেগ বাড়ছে হুগলিতেও। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, সেখানে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় তিন হাজার ছাড়িয়েছে। সরকারি হাসপাতালে দেড়শোর বেশি ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগী ভর্তি। বেসরকারি হাসপাতালেও ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৭০ জন ভর্তি রয়েছেন। শহরের থেকে গ্রামাঞ্চলে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা, যা চিন্তা বাড়িয়েছে প্রশাসনের। বলাগড়, পাণ্ডুয়া, চণ্ডীতলাকে ‘রেড জোন’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। শ্রীরামপুর, উত্তরপাড়াকে ‘রেড জোন’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে রাজ্যের দৈনিক ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫০ থেকে ৩০০। জানা যাচ্ছে মোট ৩০ হাজার মানুষ এই মুহূর্তে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে বেসরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে গত এক সপ্তাহে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৭,৬৭০।
আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: গরু পাচার মামলায় প্রথম জামিন, ছাড়া পেলেন অনুব্রতর হিসেবরক্ষক মণীশ কোঠারি