ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় হয়েছে সিকিমে (Sikkim)। উত্তর সিকিমের (North Sikkim) লোনাক হ্রদের উপর মেঘভাঙা বৃষ্টির (Cloudburst) জেরেই ঘটেছে বিপত্তি। ভেঙে গিয়ে চুংথাম বাঁধ। ফুঁসছে তিস্তা নদী (Teesta River)। অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে জলস্তর। প্রবল জলোচ্ছ্বাসে ভেসে গিয়েছে রাস্তাঘাট, বাড়িঘর। বন্যা পরিস্থিতি দেখা গিয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকায়। বানভাসি (Flash Flood) হয়েছে সুবিশাল এলাকা।
হড়পা বানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে রংপো, মেল্লি, সিংটামের। গতকাল রাত আড়াইটে নাগাদ জলের তোড়ে সিংটামের কাছে ইন্দ্রাণী সেতু ভেসে যায়। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একটা অংশের ক্ষতি হয়। ধসে গিয়েছে ওই রাস্তার বেশ কিছু জায়গা। ফলে আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়ক। যা সিকিমের অন্যতম লাইফলাইন হিসেবে পরিচিত।
আরও পড়ুন: POCSO : শারীরিক সম্পর্কে সম্মতির বয়স ১৮ থেকে কমিয়ে ১৬ বছর করায় আপত্তি
চুংথাম বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় তিস্তার জলস্তর প্রায় ১৫ থেকে ২০ ফুট বেড়ে যায়। ভেসে গিয়েছে ঘরবাড়ি, সেনা ছাউনিও। আটকে পড়েছেন বাংলার হাজার দু’য়েক পর্যটক। সিকিমের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। শিলিগুড়ি থেকে সেবক হয়ে সিকিমের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষাকারী ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ।
কালিম্পংয়ের আঠাশ মাইল নামের জায়গা ও তিস্তাবাজারের কাছে ধসে গিয়েছে জাতীয় সড়ক ১০। ডুয়ার্সের গরুবাথান থেকে লাভা হয়ে যে রাস্তাটি কালিম্পং ও সিকিমের সাথে সংযোগ স্থাপন করেছে, বুধবার দুপুরে ধস নামে সেটিতেও। তিস্তার জলস্রোত সামাল দিতে খুলে দেওয়া হয়েছে কালিঝোড়া বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র এবং গজলডোবার ক্যানাল গেট।
বাংলার মধ্যে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের ১৯ মাইলে, ২৯ মাইলে, তিস্তা বাজারের কাছে ধস। ২৩ জন সেনা জওয়ান নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন বলে খবর। সেনার একাধিক গাড়ি ভেসে গিয়েছে জলের স্রোতে। এদিকে গজলডোবাতে তিনটি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলি কাদের তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় দফায় দফায় এনিয়ে পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করছেন। সিকিমের তরফেও রাতেই বাংলার মুখ্য়সচিবকে রাত ২টোতে ফোন করা হয়। এরপর মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কাছেও ফোন যায়।
আরও পড়ুন: TMC Mission Delhi: রাজঘাটে পুলিশের তাড়া! জুতো হারালেন সুজিত, আইফোন চুরি শতাব্দীর