পুর-নিয়োগ মামলায় রবিবার সকালে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কামারহাটির বিধায়ক মদনের ভবানীপুরের পৈতৃক বাড়িতে যায় সিবিআই।তা নিয়ে সকলের ছিল মহাকৌতূহল।মদন মিত্র রঙিন মানুষ। তিনি সিবিআইয়ের প্রশ্নবাণ কীভাবে সামাল দিয়েছেন তা জানার আগ্রহ ছিল সবার। মদন অবলীলায় বলেন, তাঁর ক’টা বউ জানতে চেয়েছে সিবিআই।পুরসভায় নিয়োগ মামলায় তাঁকে কী প্রশ্ন করেছে সিবিআই এই কৌতূহল ছিল সাংবাদিকদের। তারই জবাবে মদন এমনটা জানান।মদন দাবি করেন তিনি নাকি সিবিআইকের কাছে পাল্টা জানতে চেয়েছেন, তাঁর অভিনীত সিনেমা সিবিআই আধিকারিকরা দেখেছেন কি না।
টানা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিকেলে যখন তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন, মদনের মুখে টেনশনের লেশমাত্র নেই। মুখে সেই পরিচিত হাসি। তিনি বলেন তাঁকে বেশ কিছু প্রশ্ন করেছে সিবিআই। এক বার তাঁর কাছে এ-ও জানতে চাওয়া হয় যে, তাঁর জীবনসঙ্গিনীর সংখ্যা কত।মদনের দাবি, ঠিক কোন পুরসভায় নিয়োগ নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হচ্ছে, সেটাই ঠিক ভাবে বলেননি সিবিআই আধিকারিকরা। তিনি জিজ্ঞাসা করায় এক আধিকারিক নাকি বলেছেন, ‘‘ওই যে মিউনিসিপ্যাল নিয়ে সব হচ্ছে না? ওই জন্য এসেছি।’’
মদনের দাবি, এর পর তাঁকে সরকারি ভাবে অন রেকর্ড সিবিআই প্রশ্ন করে, তাঁর কত জন স্ত্রী। তৃণমূল বিধায়কের কথায়, ‘‘আমাকে বলল, আপনার একটা বৌ না দুটো বৌ? আমি বললাম, সেটা তো খোঁজ করলেই পাওয়া যাবে। তবে এটা জানি, আমি হাঁটলেই ৫০ জন গোপিনী হাঁটবে। কিন্তু আমার নামে কোনও ৪৯৮ ধারায় মামলা নেই। আমার সব ভার্চুয়াল।’’ মদন জানান, তিনিও সিবিআইকে প্রশ্ন করেছেন যে, তাঁর অভিনীত ‘ও লাভলি’ সিনেমা তাঁরা দেখেছেন কি না।
তৃণমূল বিধায়ক বলেন, ‘‘আমি মদন মিত্র। বুকের পাটা ফুলিয়ে বলছি, ছেলেমেয়েদের চাকরির জন্য শরীরের শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়াই করব। কিন্তু তাতে যদি কেউ এক ইঞ্চি দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারে, ধরতে হবে না। আমি নিজে গলায় দড়ি দিয়ে গঙ্গায় লাফ দেব।’’