জাতিভিত্তিক জনগণনার রিপোর্ট প্রকাশ করে হইচই ফেলে দিয়েছেন নীতীশ কুমার। এবার বড় ঘোষণা করলেন রাহুল গান্ধী। ওয়েনাড়ের সাংসদের ঘোষণা, কংগ্রেস শাসিত সব রাজ্যে এবার জাতিভিত্তিক জনগণনা হবে। এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি। রাজস্থানে ইতিমধ্যেই এনিয়ে তত্পরতা শুরু হয়ে গিয়েছে।
রাহুল আরও বলেছেন, জাতিভিত্তিক জনগণনার পর এবার কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলিতে আর্থিক অবস্থার মানদণ্ডে জনগণনা হবে। জানার চেষ্টা হবে সমাজের কোন অংশের পাশে দাঁড়ানো এখনই প্রয়োজন। শুধু তাই নয়, গোটা দেশেই জাতিভিত্তিক জনগণনার প্রয়োজন। কারণ দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর হাতেই বেশি ক্ষমতা থাকা উচিত।
সোমবার নির্বাচন কমিশন রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, তেলঙ্গানা এবং মিজোরামে বিধানসভা ভোটের সূচি ঘোষণার পরেই সেই ‘বার্তা’ দিলেন দলের নেতা রাহুল গান্ধী। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘যে রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীরা জাত সমীক্ষার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁদের ধন্যবাদ। এই সিদ্ধান্ত কংগ্রেস ওয়াকিং কমিটি সমর্থন করছে।’’
LIVE: Media Interaction | AICC HQ, New Delhi https://t.co/HVlsKPMzFA
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) October 9, 2023
আরও পড়ুন: Shiv Sena MP: হাসপাতালে ৩১ রোগীমৃত্যুর জের, ডিনকে দিয়েই শৌচালয় সাফ করালেন শিবসেনা সাংসদ
কয়েকদিন আগেই রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট রাজ্য জাতিভিত্তিক জনগণনার পক্ষে সওয়াল করেছেন। পাশাপাশি সম্প্রতি ছত্তীসগঢ়ে গিয়ে একই কথা বলেছেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। তিনি বলেছেন, রাজ্যে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে ছত্তীসগঢ়েও জাতিভিত্তিক জনগণনা হবে। প্রসঙ্গত, নীতীশ কুমারের জাতিভিত্তিক জনগণনার পর অন্যান্য রাজ্যেও এনিয়ে দাবি উঠছে।
তেলঙ্গানায় গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর তোপ, জাতপাত ভিত্তিক জনগণনা করে দেশকে ভাঙার চেষ্টা করছে বিরোধীরা।
তার উত্তরে রাহুল গান্ধী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা নেই জাতিভিত্তিক জনগণনা করার। কংগ্রেসের ৪ মুখ্যমন্ত্রীর মধ্য়ে ৩ জনই ওবিসি। অন্যদিকে, দেশের বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির ১০ জন মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে একজন ওবিসি। প্রধানমন্ত্রী ওবিসিদের জন্য কিছুই করেন না। বরং তাদের মনোযোগ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন।
আরও পড়ুন: Accident: ফ্রিজ খুলতেই বিকট শব্দ! কমপ্রেসর ফেটে মৃত্যু ৩ শিশু-সহ ৫ জনের