ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধের উত্তেজনা আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে। এমন ধারণা থেকে নাগরিকদের যত দ্রুত সম্ভব মিশর ও জর্ডান ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল। এছাড়া তুরস্কে, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মালয়েশিয়া, বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া ও মালদ্বীপে ভ্রমণ না করার জন্য বলা হয়েছে।এছাড়া মরক্কোতে ভ্রমণে ৩ নম্বর সতর্ক সংকের জারি করা হয়েছে এবং অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণেও সতর্ক করা হয়েছে।বিবৃতিতে অন্যান্য দেশগুলোতে ভ্রমণও এড়িয়ে চলতে বলা হয়।
ইসরায়েলের স্থানীয় মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এতে গাজায় মানবিক বিপর্যয় তৈরি হয়েছে। ফলে বিশ্বের অনেক দেশ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছে।এদিক দুই সপ্তাহের ক্রমাগত হামলায় গাজায় ৪ হাজার ১০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েলে ১৪০০ নাগরিক নিহত হয় হামাসের হামলায়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যুদ্ধ শুরুর পর মধ্যপ্রাচ্যের দেশসহ আরব বিশ্ব ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদ জানাচ্ছে। যা ইসরায়েল ও ইহুদিদের স্বার্থের পরিপন্থি।তুরস্ক থেকে ইসরায়েলের সকল কূটনীতিককে সরিয়ে নেয়ার একদিন পর এমন নির্দেশনা দিল তেল আবিব।
ওই বিবৃতিতে ইসরায়েলি নাগরিকদের তুরস্কে, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইনে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এছাড়া রয়েছে- মালয়েশিয়া, বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া ও মালদ্বীপ।মরক্কোর জন্য ‘৩’ নম্বর সতর্কতা জারি করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যুদ্ধ থামা পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত মরক্কোয় ভ্রমণের কোনো প্রয়োজন নেই।’