রাজস্থানের টঙ্ক বিধানসভা আসন থেকে মঙ্গলবার মনোনয়ন জমা দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলট। সেই নির্বাচনী হলফনামাই এবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। যেখানে নিজেকে ডিভোর্সি বলে ঘোষণা করেছেন শচীন।
রাজনীতির দুনিয়ায় হাই প্রোফাইল দম্পতি কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলট এবং সারা আবদুল্লা ছিলেন। শচীন প্রয়াত কংগ্রেস নেতা রাজেশ পাইলটের ছেলে। তিনি যেমন রাজস্থান তথা জাতীয় রাজনীতিতে পরিচিত মুখ, তেমন রাজনৈতিক-পরিচয়ের ব্যাপারে সারাও কোনও অংশে কম নন। তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্স প্রধান ফারুক আবদুল্লার মেয়ে। কেন্দ্রশাসিত এই অঞ্চলটির আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার বোনও বটে।
লন্ডনে এমবিএ পড়ার সময়েই সারার সঙ্গে আলাপ হয় শচীনের। প্রথম দিকে দু’জনের সম্পর্ক নিয়ে পরিবারের আপত্তি থাকলেও দুই রাজনৈতিক পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয় শচীন-সারার হাত ধরে। তবে রাজনীতির ময়দানে কখনই সক্রিয় হতে দেখা যায়নি সারাকে।
২০০৪ সালে বিয়ে করেছিলেন শচীন-সারা। দম্পতির দুই পুত্রসন্তান রয়েছে- আরণ এবং ভিহান। নির্বাচনী হলফনামায় শচীন জানিয়েছেন, তিনি বিবাহবিচ্ছিন্ন। শুধু তাই নয়, দুই সন্তানই তাঁর উপর নির্ভরশীল। কবে দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে, সেকথা জানা যায়নি।
নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী, শচীন পাইলটের (Sachin Pilot) সম্পদ পাঁচ বছরে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ২০১৮ সালের হলফনামায় শচীন ৩.৮ কোটি টাকার সম্পত্তির উল্লেখ করেছিলেন। এই বছর ২০২৩ সালে তাঁর সম্পত্তি পরিমাণ ৭.৫ কোটি টাকা।
বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বা সাক্ষাৎকারে বার কয়েক দেখা গিয়েছে সারা আবদুল্লাকে। এছাড়া ২০২০ সালে যখন তাঁর দাদা ওমর আবদুল্লার জেল হয়, তখনও কাশ্মীরে ছুটে গিয়েছিলেন সারা। তবে বিচ্ছেদের কথা কখনও প্রকাশ্যে আনতে দেখা যায়নি শচীনকে। মনোনয়নপত্রেই জানা গেল বিচ্ছেদের খবর।