চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে গ্রেফতার স্কুলের প্রধান শিক্ষক। ঘটনাটি নিশ্চিন্দার উত্তর জয়পুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। অভিযোগের ভিত্তিতে নিশ্চিন্দা থানার পুলিশ বৃহস্পতিবার প্রধান শিক্ষক দেবনারায়ণ রায়কে গ্রেফতার করেছে। বিষয়টি জানাজানি হতে ছাত্রীর পরিবার ও অন্যান্য অভিভাবকেরা স্কুলে চড়াও হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে হেনস্থা করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে উদ্ধার করে। ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত শিক্ষককে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরে স্কুলে যেতে চাইছিল না ওই নাবালিকা। পরিবারের লোকজন এক রকম জোর করেই তাকে স্কুলে পাঠাচ্ছিলেন। স্কুলে না যাওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হলে ওই ছাত্রী কোনও উত্তর না দিয়ে প্রতি বার এড়িয়ে যাচ্ছিল। বৃহস্পতিবার স্কুলে যেতে অস্বীকার করলে পরিস্থতি চরমে ওঠে ওই ছাত্রীর বাড়িতে। এর পরেই সমস্ত বিষয় পরিবারকে খুলে বলে সে। অভিযোগ, স্কুলের ওই প্রধান শিক্ষক এক দিন একা পেয়ে স্কুলেই তাকে যৌন হেনস্থা করে।
বৃহস্পতিবারই নির্যাতিতার পরিবার নিশ্চিন্দা থানায় গিয়ে গোটা ঘটনাটি জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করে। পরিবারের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁর বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। শুক্রবার তাকে পেশ করা হবে হাওড়া আদালতে।
১০ বছর বয়সের নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও অভিযুক্ত শিক্ষক একাধিকবার ওই ছাত্রীকে যৌন হেনস্থা করেছেন বলে অভিযোগ পরিবারের সদস্যদের। প্রায়শই কাছে ডেকে শরীরের নানা অংশে হাত দিতেন বলেও অভিযোগ। তারপর থেকেই স্কুলে যেতে বেঁকে বসে ওই ছাত্রী।
ঘটনায় নির্যাতিতার ঠাকুমা বলছেন, “আজকে আমরা জানতে পারি ওই স্কুলের স্যার আমার নাতনির গায়ে হাত দিয়েছে। সেই ভয়েই ও স্কুলে যাচ্ছে না। নোংরাভাবে ওর গায়ে হাত দিয়েছে। অনেকদিন ধরেই এটা হচ্ছে। এর আগে ৪-৫ বার এমনটা করেছে। কাল যেটা করেছে সেটা সব সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে।”