ক্যাম্পাসে ঢুকে হোস্টেলের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে যৌন হেনস্তা করার অভিযোগে উত্তাল আইআইটি-বিএইচইউ। এক বন্ধুর সঙ্গে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন তরুণী। সেই সময়ে বাইক নিয়ে আসে তিন যুবক। বন্ধুর থেকে আলাদা করে দূরে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, তাঁকে নগ্ন করে সেই দৃশ্য ভিডিও রেকর্ড করা হয়। ছবিও তোলা হয়। বিএইচইউ সূত্রের খবর, এই ঘটনার পর থেকেই হস্টেলে নিজেকে বন্দি রেখেছেন ছাত্রী। কারও সঙ্গে দেখা করছেন না। প্রচণ্ড আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন সেই ঘটনার পর থেকে।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে। বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালযয়ের ওই নিগৃহীত ছাত্রী জানিয়েছেন, তিনি কারমান বাবা মন্দিরের সামনে এই বন্ধুর সঙ্গে হাঁটছিলেন। সেই সময় ওই ৩ যুবক বাইকে চড়ে আসে। তাঁকে জোর করে টানতে টানতে নিয়ে যায় একটি ফাঁকা জায়গায়। তারপর নগ্ন করে তাঁর শ্লীলতাহানি করা হয়। ১৫ মিনিট ধরে চলে নির্যাতন। শ্লীলতাহানি, জোর করে চুম্বন এবং ছবি তোলা হয়েছিল তাঁর। অত্যাচারের ছবি এবং ভিডিও রেকর্ড করে রাখা হয় মোবাইলে। তারপর তাঁর মোবাইল নম্বর নিয়ে তাঁকে ছেড়ে দেয় অভিযুক্তরা।
তার পর তাঁকে ছেড়েও দিয়েছিল। কিন্তু অভিযুক্তদের গাড়ি ঘোরানোর আওয়াজ পেয়েই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। আবার কি হেনস্থার শিকার হতে হবে তাঁদের হাতে? সেই ভয়েই সাহায্যের আশায় ছুটে গিয়েছিলেন এক অধ্যাপকের বাড়িতে। পুলিশ সূত্রে খবর, দরজায় কড়া নাড়ার আওয়াজ পেয়েই অধ্যাপক বেরিয়ে আসেন। তাঁকে সব ঘটনা জানান ছাত্রী। এবং সাহায্যও চান। ছাত্রীকে নিজের বাড়িতে আশ্রয় দেন অধ্যাপক। প্রায় ২০ মিনিট সেখানে লুকিয়েছিলেন ছাত্রী। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কমিটিকে বিষয়টি জানান অধ্যাপক। এর পরই অধ্যাপকের বাড়িতে এসে ছাত্রীকে উদ্ধার করে হস্টেলে নিয়ে যাওয়া হয়।
ওই ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ে চত্বর জুড়ে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি ওঠে। ঘটনার পরেই থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন ওই ছাত্রী। তাঁর বয়ানের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ ধারা এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ধারা অনুযায়ী মামলা রুজু করে পুলিশ। তদন্তকারীরা অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছেন।