নিউজিল্যান্ড: ৪০১-৫ (রাচীন রবীন্দ্র ১০৮, কেন উইলিয়ামসন ৯৫)
পাকিস্তান: ২০০-১ (ফখর জামান ১২৬, বাবর আজম ৬৬)
ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে পাকিস্তান ২১ রানে জয়ী।
বিশ্বকাপে এখনও টিকে থাকল পাকিস্তান। বেঙ্গালুরুতে নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের পর মনে হয়েছিল, শনিবারই বোধহয় বাবর আজ়মদের বিদায় নিতে হবে বিশ্বকাপ থেকে। কিন্তু ব্যাট হাতে ফখর জমান ও তার পরে বৃষ্টি বাঁচিয়ে দিল তাঁদের। ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে নিউজিল্যান্ডকে হারাল পাকিস্তান।
বৃষ্টিবিঘ্নিত বেঙ্গালুরুতে প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে নিউজিল্যান্ড করে ৪০১ রান। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা রাচীন রবীন্দ্র করেন ১০৮, প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন করেন ৯৫ রান। শেষদিকে ২৫ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলেন গ্লেন ফিলিপ্স, চ্যাপমান (৩৯), স্যান্টনারও (১৭ বলে ২৬) ভালো ইনিংস খেলেন। পাক বোলাররা এদিন একের পর এক লজ্জার রেকর্ড গড়েছেন। শাহীন আফ্রিদি ১০ ওভারে দেন ৯০ রান, হ্যারিস রউফ দেন ৮৫ রান, হাসান আলি দেন ৮২ রান।
টার্গেট ৪০২। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এর আগে এত বড় রান তাড়া করে কোনও দল জেতেনি। ধুঁকতে থাকা পাক ব্যাটারদের পক্ষেও সেটা একপ্রকার অসম্ভব মনে হচ্ছিল। কিন্তু ঠিক তখনই ফখর জামান এক অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলে দিলেন। এদিন দুবার খেলায় বাদ সাধে বৃষ্টি। দ্বিতীয়বার বৃষ্টিতে যখন খেলা বন্ধ হয়ে গেল তখন ফখর ৮১ বলে ১২৬ রান করে ক্রিজে। অধিনায়ক বাবরও ৬৩ বলে ৬৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন। আর পাকিস্তান ২৫ ওভার ৩ বলে মাত্র ১ উইকেটে ২০০ রানে দাঁড়িয়ে। ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে পাক দল তখন ২১ রানে এগিয়ে। এর পর আর খেলা শুরু হয়নি। ফলে ওই ২১ রানেই জিতে যায় পাক দল।
এই হারের ফলে কিছুটা চাপে পড়ে গেল নিউজিল্যান্ড। পর পর চারটি ম্যাচ হারল তারা। ফলে তাদেরও শেষ চারে যাওয়ার লড়াই কঠিন হয়ে গেল।