বিগত এক সপ্তাহ ধরেই ভয়াবহ পরিস্থিতি দিল্লির। বিষিয়ে উঠেছে রাজধানীর বাতাস। বিগত তিনদিন ধরে দিল্লিতে বাতাসের গুণমান ‘অত্যন্ত ভয়ঙ্কর’ মাত্রায় রয়েছে। তবে শুধু দিল্লিই নয়, দূষণে পাল্লা দিচ্ছে বাণিজ্যনগরী মুম্বই ও কলকাতাও। ক্রমাগত বেড়েই চলেছে বায়ুদূষণের মাত্রা। আজ, রবিবার বিশ্বের সর্বাধিক দূষিত শহরগুলির তালিকায় প্রথম স্থানেই রয়েছে দিল্লি।
পাশাপাশি দুনিয়ার ৫ দূষিত শহরের তালিকায় রয়েছে মুম্বই ও কলকাতাও। অর্থাত্ ভয়ংকর দূষণের কবলে আমাদের এই মহানগরও। চিকিত্সকদের পরিভাষায় একজন সুস্থ মানুষের জন্য যে বাতাসের প্রয়োজন সেখানে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স হওয়া উচিত ৫০। সেখানে রবিবার কলকাতার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ছিল ২০৬। অন্যদিকে মুম্বইয়ের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ছিল ১৬২। যাদের মধ্যে কোনও অসুখ রয়েছে তাদের জন্য এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ৪০০-৫০০ মারাত্মক হতে পারে।
সুইস গ্রুপ আইকিউএয়ার (IQAir)-র তরফে প্রকাশিত তথ্যেই দেখা গিয়েছে, আজ, ৫ নভেম্বর বিশ্বের সবথেকে দূষিত শহর দিল্লি। সেখানে বাতাসের গুণমান বা একিউআই হল ৪৮৩। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পড়শি পাকিস্তানের লাহোর। সেখানে বাতাসের গুণমান ৩৭১। এরপরই তৃতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতার নাম। কলকাতার বাতাসের গুণমান ২০৬। চতুর্থ স্থানে রয়েছে ঢাকা, পঞ্চম স্থানে করাচি। ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে মুম্বই। সেখানে বাতাসের গুণমান ১৬২। তালিকায় এরপরে রয়েছে চিনের বেশ কয়েকটি শহর ও কুয়েত সিটি।
প্রতি বছর শীতে মারাত্মক এই দূষণ সমস্যায় পড়েন দিল্লির মানুষজন। বিশেষকরে দীপাবলীর সময়ে বাজি ফাটানোর ফলে তা আরও মারাত্মক আকার ধারন করে। দিল্লি সরকার বারবারেই পঞ্জাব ও হরিয়ানার চাষিদের বিরুদ্ধে নাড়া পোড়ানোর অভিযোগ করে থাকে। এখনও ফসল কাটার মরশুম শুরু হয়নি। তার আগেই এই অবস্থা। প্রতিবারেই দিল্লির মানুষ চোখ জ্বালা ও গলা জ্বালার মতো অভিযোগ করে থাকে। সোশ্য়াল মিডিয়ায় দিল্লির এক টিকিত্সক দাবি করেছেন, সর্দি,শ্বাসকষ্ট নিয়ে বহু শিশু আসছেন তাঁর কাছে।