মাধুরী দীক্ষিত। যাঁর এক হাসিতে ফিদা আসমুদ্র হিমাচল। এবার সেই হাসির ঝলকই দেখা যাবে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে! না, তারকা প্রচারক হিসেবে নয়, সক্রিয় রাজনীতিতে পা রাখতে চলেছেন বলি ডিভা। সব ঠিকঠাক থাকলে চব্বিশের লোকসভা ভোটেও লড়বেন ধক ধক গার্ল।
অনেক সময়ই কোনও নির্বাচনী এলাকায়, কোনও রাজনৈতিক দল দেখে যে তাদের জয় নিশ্চিত নয়। সেই সময়ই তারা কোনও সেলিব্রিটিরি ভাবমূর্তি ও তার জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করে। সেলেব প্রার্থীকে নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয় সংবাদমাধ্যমে। ভোটাররাও অনেক ক্ষেত্রেই সেই সেলিব্রিটির গ্ল্য়ামারের জোরেই তাঁকে ভোট দেন। নির্বাচনে জেতার পর, অনেক অভিনেতা-রাজনীতিবিদ সেই সুযোগকে সদ্ব্যবহার করার চেষ্টা করেন। অভিনয় জীবনের পর রাজনীতিতে জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেন। প্রয়াত অভিনেতা সুনীল দত্ত যেমন, রাজনীতিতে আসার পর আমৃত্যু রাজনীতির ময়দান থেকে সরেননি। পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ অভিনেতা-রাজনীতিবিদও এখনও পর্যন্তরাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছেন। আবার উল্টো দিকে রয়েছে বলি অভিনেতা গোবিন্দার মতো উদাহরণ। উত্তর মুম্বই থেকে লোকসভা নির্বাচনে জিতেছিলেন, কিন্তু, তারপর আর তার দেখা পাননি এলাকার মানুষ। দ্বিতীয়বার আর টিকিট পাননি, রাজনীতি থেকে সরে গিয়েছেন।
এবার সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল, কোন দলের হয়ে লড়বেন মাধুরী (Madhuri Dixit)? শোনা যাচ্ছে, সব ঠিকঠাক থাকলে বিজেপির টিকিটে উত্তর-পশ্চিম মুম্বই থেকে লড়বেন তিনি। ইতিমধ্যেই নাকি গেরুয়া শিবিরের নেতাদের সঙ্গে কথাবার্তাও বলতে শুরু করেছেন তিনি।
সূত্রের খবর, নির্বাচনী লড়াইয়ে নামা নিয়ে নাকি মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ার এবং বিজেপি নেতা আশিস সেলারের সঙ্গেও কথা বলেছেন অভিনেত্রী। এমনকী গতকাল ওয়াংখেড়েতে ভারত বনাম নিউজিল্যান্ডের সেমিফাইনাল ম্যাচে আশিস পাশেই বসে থাকতে দেখা গিয়েছিল মাধুরীকে। আর সেই কারণেই জল্পনা আরও জোড়ালো হচ্ছে। যদিও রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়ে এখনও পর্যন্ত মুখে কুলুপ মাধুরীর।