গভীর নিম্নচাপ আজ সকালেই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘মিধিলি’। নাম দিয়েছে মলদ্বীপ। ক্রমশ এটি ওড়িশা ও বাংলা উপকূলের কাছাকাছি চলে আসছে। দিঘা থেকে দূরত্ব ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে। এর প্রভাবে আজ, শুক্রবার ভারী বৃষ্টি হবে রাজ্যের উপকূলে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলাতে। এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর ৷
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার সকালের মধ্যে সর্বশক্তি দিয়ে বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। ৮০ কিলোমিটার গতিবেগে সেটি বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে বলে জানিয়েছেন আবহবিদরা।বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হাওয়া অফিসের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘূর্ণিঝড়ের কোনও নাম ঘোষণা করা হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী, সাগরে তৈরি কোনও ঘূর্ণাবর্ত, ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে তবেই আনুষ্ঠানিক ভাবে নাম ঘোষণা করা হয়। সেই মতো শুক্রবার ভোরে গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পরেই নামকরণ হয়েছে সেই ঝড়ের।
‘মিধিলি’ নামটি মলদ্বীপের দেওয়া। উচ্চারণ অনুযায়ীও ঘূর্ণিঝড়ের নাম মিধিলি-ই। মিধিলি নামের অর্থ হল বিশাল গাছ অর্থাৎ, মহীরুহ। ২০২০ সালে মৌসম ভবনের তালিকাভুক্ত ১৬৯টি ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে একটির নাম দেওয়া হয় মিধিলি। ঘূর্ণিঝড়ের নামের তালিকা তৈরির সিদ্ধান্ত ২০১৯ সালের এপ্রিলে আন্তর্জাতিক আবহাওয়া দফতর (ওয়ার্ল্ড মিটিওরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট)-এ গৃহীত হয়েছিল।
শুক্রবার রাত অথবা শনিবার খুব সকালের দিকে এটি বাংলাদেশের সুন্দরবন এলাকায় এটি স্থলভাগে প্রবেশ করার সম্ভাবনা।টিপু পাড়া ও মংলার মাঝামাঝি এটি স্থলভাগে প্রবেশ করার সময় এর গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৮০ থেকে ৮৫ কিলোমিটার। এর প্রভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা রাজ্যের উপকূলে। বইবে ঝোড়ো হাওয়া। উপকূল ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা বৃহস্পতি ও শুক্রবার।