‘ড্রাই স্টেট’। অর্থাৎ মদ নিষিদ্ধ। তাই পুলিশকর্মীরা যখন খবর পেয়েছিলেন যে টেবিল ফ্যানের নিচে লুকিয়ে গাড়ি করে পাচার করা হচ্ছে দামি বিদেশি স্কচ, তখন অভিযান চালানো হয়। সেই অভিযানে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল ৪৮২ বোতল মদ ও ৭৫টি টেবিল ফ্যান। তার মধ্যে থেকেই চুরি গিয়েছিল মদ ও টেবিল ফ্যান। তদন্ত শুরু হওয়ার পর দেখা গেল, সেই চুরিতে জড়িতে রয়েছেন থানারই অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর থেকে শুরু করে কনস্টেবল পর্যন্ত পুলিশকর্মীরা! ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৬ জন পুলিশ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঘটনাটি গুজরাতের মহিসাগর জেলার।পুলিসি হেফাজত থেকে চুরি গিয়েছে ১২৫ বোতল মদ ও ১৫টি টেবিল ফ্য়ান। সবেমিলিয়ে ওইসব জিনিসের মূল্য ১.৯৭ লাখ টাকা। থানার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে এবং অন্যান্য বিষয় খতিয়ে দেখার পর কনস্টেবলদের এবং এএসআইকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিসের ডিএসপির বক্তব্য, খানপুর তালুকের বাকোর থানায় ওইসব মদ রাখা ছিল থানার মহিলাদের লকআপে।
সম্প্রতি পুলিস কর্তাদের থানায় আসার কথা ছিল। তার জন্যই বাজেয়াপ্ত করা জিনিসপত্র মিলিয়ে দেখা শুরু হয়। তাতেই ধরা পড়ে ওইসব মেদের বোতল ও ফ্যান গায়েব। তদন্তে ধরা পড়ে ১২৫ বোতল বিদেশি মদ ও ১৫টি ফ্যান পাওয়া যাচ্ছে না। মদের মোট মূল্য ১.৫৭ লাখ টাকা।। অন্যদিকে, ১৫টি ফ্যানের দাম ৪০,৫০০ টাকা। এরপরই ওই ৫ পুলিস কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়। তদন্তে জানা যায় ওইসব মদ চুরির পরিকল্পনা করেন এএসআই অরবিন্দ কান্ত। সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখা যায় অরবিন্দ কান্ত ও কনস্টেবল ললিত পারমার রাত দশটা নাগাদ মহিলা লকআপে ঢুকছে। বেরিয়ে আসছে মদের বোতল হাতে নিয়ে।
কেন মহিলাদের লক-আপে বাজেয়াপ্ত করা সামগ্রী রাখা হয়েছিল? ডিএসপি জানিয়েছেন, এই ধরনের জিনিস রাখার জন্য থানায় যে স্থান নির্দিষ্ট করা আছে, তা আগে থেকেই ভর্তি হয়ে গিয়েছিল। সেই কারণে খালি লক-আপে তা রাখা হয়েছিল। জায়গাটি পরিষ্কার করতে গিয়ে দেখা যায় কয়েকটি বোতল ভাঙা পড়ে আছে। তাতেই পুলিশের সন্দেহ হয়। বেশ কিছু ক্ষণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় থানার সিসিটিভিও। এই ঘটনায় থানার বাইরের এক জনও জড়িত আছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। কিন্তু তিনি পলাতক। তাঁর খোঁজ চলছে।